বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

हैम्लिग्न ه لا “তোমাদের পায়ে পড়ি, আমাকে সঙ্গে লইয়া চল ।” দস্থ্যর সংসৰ্গও আমার স্পৃহনীয় इड्रेश । g এক প্রাচীন দস্থ্য সকরুণভাবে বলিল, “বাছ, আমন রাঙ্গা মেয়ে আমরা কোথায় লইয়া যাইব ? এ ডাকাতির এখনই সোহরৎ হইবে-তোমার মত রাঙ্গা মেয়ে আমাদের সঙ্গে দেখিলেই আমাদের ধরিবে ।” একজন যুবা দস্থ কহিল, “আমি ইহাকে লইয়া ফাটকে যাই, সেও ভাল, তবু ইহাকে ছাড়িতে পারি না ।” সে আর যাহা বলিল, তাহ লিখিতে পারি না —এখন মনেও আনিতে পারি না। সেই প্রাচীন দস্থ্য ঐ দলের সর্দার। সে যুবাকে লাঠি দেখাইয়া কহিল, “এই লাঠির বাড়িতে এইখানেই তোর মাথা ভাঙ্গিয়া রাখিয়া যাইব । ও সকল পাপ কি আমাদের সয় ?” তাহারা চলিয়া গেল। শ্বশুরবাড়ী যাওয়ার খ এমনও কি কখনও হয় ? এত বিপদ, এত দুঃখ কাহারও কখনও ঘটিয়াছে ? কোথায় প্রথম স্বামিসন্দর্শনে যাইতেছিলাম—সর্ব্বাঙ্গে রত্নালঙ্কার পরিয়া, কত সাধে চুল বাধিয়া, সাধের সাজা পানে অকলুষিত ওষ্ঠাধর রঞ্জিত করিয়া, সুগন্ধে এই কৌমারপ্রফুল্ল স্নেহ । আমোদিত করিয়া এই উনিশ বৎসর লইয়া, প্রথম স্বামিসন্দর্শনে যাইতেছিলাম, কি বলিয়া এই অমূল্যরয় তাহার পাদপদ্মে উপহার দিব, তাই ভাবিতে ভাবিতে যাইতেছিলাম ;– অকস্মাৎ তাহাতে একি বজ্রাঘাত ! সর্ব্বালঙ্কার কাড়িয়া লইয়াছে,—লউক ; জীর্ণ মলিন দুৰ্গন্ধ বস্ত্র পরাইয়াছে,—পরাক্‌ ; বাঘ-ভালুকের মুখে সমৰ্পণ করিয়া গিয়াছে,—যাক্‌ ; ক্ষুধাতৃষ্ণায় প্রাণ যাইতেছে,—ত যাকৃ—প্রাণ আর চাহি না, এখন গেলেই ভাল ; কিন্তু যদি প্রাণ না যায়, যদি বাঁচি, তবে কোথায় যাইব ? আর ত তাকে দেখা হইল না—বাপ মাকেও বুঝি দেখিতে পাইব না । কঁাদিলে ত কান্ন ফুরায় না। তাই কঁাদিব না বলিয়া স্থির করিতেছিলাম। চক্ষুর জল কিছুতেই থামিতেছিল না, তযু চেষ্টা করিতেছিলাম—এমন সময়ে দূরে কি একটা বিকট গর্জন হইল। মনে করিলাম, বাঘ। মনে একটু আহলাদ হইল। বাঘে খাইলে সকল জ্বালা জুড়ায়। হাড় গোড়