অষ্টম পরিচ্ছেদ : বিবি পাণ্ডব ❖ጫ একটু হাসিল। আমি বুৰিয়াছিলাম, হাসি তার রোগ, স্বভাষিণী শাশুড়ীর কাছে গেল, আমি আড়াল হইতে শুনিতে লাগিলাম । স্বভাষিণীর শাশুড়ী বলিতে লাগিল, “সে কায়েং ছুড়ীটে চলে গেছে কি ?” স্বভা। ন—তার এখনও খাওয়া হয় নাই বলিয়, যাইতে দিই নাই। গৃহিণী বলিলেন, “সে রাখে কেমন ?” স্বভা । তা জানি না । - গৃ । আজ না হয় সে নাই গেল। কাল তাকে দিয়া তুই একখানা রাধিয়ে দেখিতে হইবে। - স্বভা। তবে তাকে রাখি গে। এই বলিয়া সুভাষিণী আমার কাছে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “ভাই, তুমি রাধিতে জান ত ? আমি বলিলাম, “জানি । তা ত বলেছি।” সুভা । ভাল রাধিতে পার ত ? আমি। কাল খেয়ে দেখে বুঝিতে পরিবে। স্বভা। যদি অভ্যাস না থাকে তবে বল, আমি কাছে বসিয়া শিখিয়ে দিব । আমি হাসিলাম। বলিলাম, “পরের কথা পরে হবে।” অষ্টম পরিচ্ছেদ বিবি পাগুৰ পরদিন রাধিলাম। স্বভাষিণী দেখাইয়া দিতে আসিয়াছিল, আমি ইচ্ছা করিয়া সেই সময়ে লঙ্ক ফোড়ন দিলাম—সে কাশিতে কাশিতে উঠিয়া গেল, বলিল, “মরণ আর কি।” রান্না হইলে, বালকবালিকার প্রথমে খাইল । স্বভাষিণীর ছেলে অল্প ব্যঞ্জন বড় খায় না, কিন্তু সুভাষিণীর পাচ বৎসরের একটি মেয়ে ছিল। স্বভাষিণী তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, “কেমন রান্না হয়েছে, হেমা ?” সে বলিল, “বেশ । বেশ গো বেশ ।” মেয়েটি বড় শ্লোক বলিতে ভালবাসিত, সে আবার বলিল, “বেশ গো বেশ,
পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩১
অবয়ব