বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

हैमिब्र ويجو!) তিনি। তিনি এখন কোথায় আছেন বলিবে ? আমি । এই কলিকাতায় । - তিনি। (একটু চমকিত হইয়া ) তুমি কলিকাতায়, তোমার স্বামী কলিকাতায়, তবে তুমি তার কাছে থাক না কেন ? আমি । তার সঙ্গে আমার পরিচয় নাই। পাঠক দেখিও, আমি সব সত্য বলিতেছি । আমার স্বামী এই উত্তর শুনিয়া বিস্মিত হইয়া কহিলেন, “স্ত্রী পুরুষে পরিচয় নাই ? এত বড় আশ্চর্য্য কথা ।” আমি । সকলের কি থাকে ? তোমার কি আছে ? একটু অপ্রতিভ হইয়। তিনি বলিলেন, “সে ত কতকগুলা ফুর্দ্দৈধে ঘটিয়াছে।” আমি । তুদৈব সর্ব্বত্র আছে। তিনি। যাকৃ—তিনি ভবিষ্যতে তোমার উপর কোন দাবি দাওয়া করিবার সম্ভাবনা আছে কি ? আমি। সে আমার হাত। আমি যদি তার কাছে আত্মপরিচয় দিই, তবে কি হয় বলা যায় না। 礁 তিনি। তবে তোমাকে সকল কথা ভাঙ্গিয় বলি, তুমি খুব বুদ্ধিমতী, তাহা বুঝিয়াছি। তুমি কি পরামর্শ দাও শুনি । আমি । বল দেখি । তিনি। আমাকে বাড়ী যাইতে হইবে। আমি। বুঝিলাম। তিনি। বাড়ী গেলে শীঘ্র ফিরিতে পারিব না। আমি । তাও শুনিতেছি । তিনি। তোমাকে ফেলিয়া যাইতেও পারিব না। তা হ’লে মরিয়া যাইব । প্রাণ আমার কণ্ঠাগত, তবু আমি এক রাশি হাসি হাসিয়া বলিলাম, “পোড়া কপাল ! ভাত ছড়াইলে কাকের অভাব কি ?” • - তিনি। কোকিলের দুঃখ কাকে যায় না। আমি তোমাকে লইয়াই যাইব । আমি । কোথায় রাখিবে ? কি পরিচয়ে রাখিবে ? তিনি। একটা ভারি জুয়াচুরি করিব। তাই কাল সমস্ত দিন ভাবিয়াছি। তোমার সঙ্গে কথা কহি নাই। -