বিংশ পরিচ্ছেদ : ৰিভাধরীর অন্তৰ্দ্ধান ליף আমি এণ্ড দিন কোথায় ছিলাম, কি প্রকারে জাসিলাম—তাহা কিছুই বলিলাম না । পিত্ত মাক্ত জিজ্ঞাসা করিলে বলিলাম, “এর পরে বলিব ।” - সময়ান্তরে স্থূল কথা তাহাদিগৰুে বলিলাম, কিন্তু সৰ কথা নহে। এতটুকু ফুৰিতে দিঙ্গাম যে, পরিশেষে আমি স্বামীর নিকটেই ছিলাম এবং স্বামীর নিকট হইতেই আসিয়াছি । এবং তিনিও দুই একদিনের মধ্যে এখানে আসিৰেন। সব কথা ভাঙ্গিয়া চুরিয়া কামিনীকে বলিলাম। কামিনী আমার অপেক্ষ দুই বৎসরের ছোট। বড় রঙ্গ ভালবাসে । সে বলিল, “দিদি। যখন মিত্রুজ। এত বড় গোবরগণেশ, তাকে নিয়া একটু রঙ্গ করিলে হয় না ”ি আমি বলিলাম, “আমারও সেই ইচ্ছা ।” তখন দুই বহিনে পরামর্শ অঁাটিলাম। সকলকে শিখাইয়া ঠিক করিলাম। বাপ মাকেও একটু শিখাইতে হইল। কামিনী র্তাহাদিগকে বুঝাইল যে, প্রকাশ্বে গ্রহণ করাটা এখনও হয় নাই। সেট। এইখানে হইবে । আমরাই তাহা করিয়া লইব । তবে আমি যে এখানে আসিয়াছি, এই কথাটা তাহার, জামাতা আসিলে তাহার সাক্ষাতে প্রকাশ না করেন। পরদিন, সে জামাত আসিলেন । পিতা মাতা তাহকে যথেষ্ট আদর-অপেক্ষা করিলেন । আমি আসিয়াছি, এ কথা বাহিরে কাহারও মুখে তিনি শুনিলেন না । কাহাকেও জিজ্ঞাসা করিতে পারিলেন না। যখন অন্তঃপুরে জলযোগ করিতে আসিলেন, তখন বড় বিষণ্ণবদন । জলযোগের সময়, আমি সম্মুখে রহিলাম না। কামিনী বসিল, আর দুই চারি জন জ্ঞাতি ভগিনী ভাইজ বসিল । তখন সন্ধ্যাকাল উত্তীর্ণ হইয়াছে। কামিনী অনেক কথা জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল ; তিনি যেন ৰুলে উত্তর দিতে লাগিলেন। আমি আড়ালে দাড়াইয়া সব শুনিতে দেখিতে লাগিলাম। পরিশেষে তিনি কামিনীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার দিদি কোথায় rি কাসিনী খুব একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া বলিল, “কি জানি কোথায় ? কালানীখিতে সেই যে সর্ব্বনাশটা হইয়া গেল, তার পর ত আর কোন খৰর পাওয়া যায় নাই ।” র্তার মুখখান ৰড়ে লম্বা হইয়া গেঙ্গা কথা জার কহিতে পারেন না। বুকি কুমুদিনীকে হারাইলাম, এ কথা মনে করিয়া থাকিবের ; কেন না, তার চক্ষু দিয়া দরবিগলিত ধারা বহিতে লাগিল । চক্ষের জল সামলাইয়া তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “কুমুদিনী বলিয়া, কোন স্ত্রীলোক জাসিয়াছিল কি ?” - - థి
পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭৫
অবয়ব