দ্বাবিংশতিতম পরিচ্ছেদ : উপসংহার yరి উ। কে দেখেছে ? কা। কেউ না । উ। তেমনতর ত কথা ছিল না । কা। এমন কথাও ছিল না যে, তোমাদের সমুখে আসিয়া পেশওয়াজ প্ররিয়া নাচিব। নাচিব স্বীকার করিয়াছিলাম, তা মাচিয়াছি । আমার কথা রাখিয়াছি । তোমরা দেখিতে পাইলে না, তোমাদের অদৃষ্টের দোষ। এখন আমি যে শিকল কিনিয়া রাখিয়াছি, তার কি হবে ? কামিনী যদি নাচের দায়ে এড়াইল, তবে আমার স্বামী গানের জন্য ধরা পড়িলেন। মজলিস্ হইতে হুকুম হইল তোমাকে গায়িতে হইবে । তিনি পশ্চিমাঞ্চলে রীতিমত গীতবিদ্যা শিখিয়াছিলেন । তিনি সনদী খিয়াল গায়িলেন ৷ শুনিয়া সে অপারোমণ্ডলী হাসিল । ফরমায়েস করিল, “বদন অধিকারী কি দাশু রায়।” তাতে উ-বাবু অপটু ৷ সুতরাং অন্সরোগণ সন্তুষ্ট হইল না। এইরূপে দুই প্রহর রাত্রি কাটিল। এ পরিচ্ছেদটা না লিখিলেও লিখিতে পারিতাম। তবে এদেশের গ্রাম্য স্ত্রীদিগের জীবনের এই ভাগটুকু এখন লোপ পাইয়াছে বলিয়া আমার বিশ্বাস। লোপ পাইয়াছে, ভালই হইয়াছে ; কেন না, ইহার সঙ্গে অশ্লীলতা, নির্লজ্জতা, কদাচিৎ বা স্থনীতি, আসিয়া মিশিত। কিন্তু যাহা লোপ পাইয়াছে তাহার একটা চিত্র দিবার বাসনায়, এই পরিচ্ছেদটা লিখিলাম। তবে জানি না, অনেক স্থানে এ কুরীতি লোপ না পাইয়াও থাকিতে পারে। যদি তাহ হয়, তবে র্যাহারা জামাই দেখিতে পৌরস্ত্রীদিগকে যাইতে নিষেধ করেন না, তাহদের চোখ কান ফুটাইয়া দেওয়া প্রয়োজনীয়। ভাই ধরি মাছ, ন৷ ছু ই পানি করিয়া, তাহাদের ইঙ্গিত করিলাম। স্বাবিংশতিতমু পরিচ্ছেদ উপসংহার আমি পরদিন স্বামীর সঙ্গে শিবিকারোহণে শ্বশুরবাড়ী গেলাম। স্বামীর সঙ্গে যাইতেছি, সে একটা সুখ বটে, কিন্তু সেবার যে যাইতেছিলাম, সে আর এক প্রকারের সুখ। যাহা কখন পাই নাই, তাই পাইবার আশায় যাইতেছিলাম ; এখন যাহা পাইয়াছিলাম,
পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮৫
অবয়ব