পাতা:ইন্দিরা - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৩).pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
ইন্দিরা।

অপরাহ্নে আবার গেলেন। এবার একখানি কাগজ হাতে করিয়া আসিলেন। বলিলেন, “ইহা লও। তোমাকে আমার সমস্ত সম্পত্তি লিখিয়া দিলাম। উকীলের বাড়ী হইতে এই দানপত্র লেখাইয়া আনিয়াছি। যদি তোমাকে আমি কখন ত্যাগ করি, তবে আমাকে ভিক্ষা করিয়া খাইতে হইবে।”

 এবার আমার অকৃত্রিম অশ্রুজল পড়িল—তিনি আমাকে এত ভাল বাসেন! আমি তাঁহার চরণ স্পর্শ করিয়া বলিলাম, “আজি হইতে আমি তোমার চিরকালের দামী হইলাম। পরীক্ষা শেষ হইয়াছে।”


অষ্টম পরিচ্ছেদ।

 তাহার পরেই মনেই বলিলাম, “এইবার সোণার চাঁদ, আর কোথায় যাইবে? তবে নাকি আমাকে গ্রহণ করিবে না?” যে অভিপ্রায়ে, আমার এত জাল পাতা, তাহা সিদ্ধই ইল। এখন আমি তাঁহার স্ত্রী বলিয়া পরিচয় দিলে, তিনি। যদি গ্রহণ না করেন, তবে তাঁহাকে সর্ব্বত্যাগী হইতে হইবে।

 আমার পিতা নাম রাখিয়াছিলেন “ইন্দিরা”—মাতা