পাতা:ইন্দুপ্রভা নাটক - গিরিশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইন্দুপ্রভ নাটক S$Vo হির । মহাশয়, এ সকল বিবেচনা কত্তে গেলে অণর ংসারণশ্রমে বাস করা চলে না । 愿 রাজা । মন্ত্রি, এ জগতে সকলই বিনশ্বর, কিছুই চিরস্থায়ী নয় । সকলকেই কালের করালগ্রাসে পতিত হতে হয় ; কেবল কীর্ত্তিই চিরকাল দেদীপ্যমান থাকে । উত্তম কুসুম শুক্ষহলেও যেমন তার সদগন্ধ যায় না, সেইরূপ মৃত্যু মুখে পতিত হলেও কীর্তি চিরকাল যশ ঘোষণা করে । তা যে ব্যক্তি এমন কীর্ত্তি লোপে প্রবৃত্ত হয়, সে অতি নরাধম । তুমিই বিবেচনা কর দেখি, আমি যদি এ বিষয়ে নিরস্ত হই, তা হলে লোকে আমাকে কি পর্য্যন্ত কাপুৰুষ জ্ঞান না করবে ! হির । মন্ত্রি মহাশয়, মান বড় ভয়ানক পদার্থ । ভীৰু ব্যক্তিরণ মান অপেক্ষা জীবনকে প্রিয়তর বোধ করে । তা এমন মান রক্ষার্থে কে না সমর সাগরে বাপ দেয় ? আমরা যদি এক্ষণে নিবৃত্ত হই, তা হলে আমাদের কলঙ্কের পরিসীমা থাকবে না । মন্ত্রী । (স্বগত ) তাইত ! এখন কি কর্ত্তব্য ; সমুদ্র যখন বেগে উথলিত হয়, তখন কার সাধ্য তাকে নিবারণ করে। ঘৃতাহুতিতে অগ্নি যেরূপ অধিক জ্বলে ওঠে, এ সংবাদ শুনেও মহারাজের কোপাগ্নি সেইরূপ বৃদ্ধি হচ্চে । তা এ রোষাগ্নি যে সহজে নির্ব্বাণ হয়, এমন ত বোধ হয় না । ( প্রকাশে ) দেব, শাস্ত্রকারের শাম, দাম, সন্ধি প্রভূতি যুদ্ধের চার প্রকার লক্ষণ নির্ণয় করেছেন । সময়ানুসারে সকলই অবলম্বন করা উচিত । বিশেষতঃ শত্রুপক্ষের পরাক্রম জামৃতে এক জন দূত প্রেরণ করা আবশ্যক। নীতিশাস্ত্রে কোন