পাতা:ইন্দুপ্রভা নাটক - গিরিশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: 9:R ইন্দুপ্রভা নাটক । & না ? ওরে নিষ্ঠুর প্রাণ ! তুই এ পাপীয়সীর দেহে বাস কতে কিঞ্চিৎমাত্র সঙ্কুচিত হচ্চিসনে ? প্রাণনাথ জীবন পরিত্যাগ করেছেন শুনেও তুই এ দেহ হতে বহির্গত হলিনি ? যাকে ক্ষণকাল না দেখলে অধৈর্য্য হতিস্, তার এই ভয়ানক সমাচার শুনেও তুই অনায়াসে আমার এ দেহে বাস কচ্চিস ১ হ৷ হত বিধাতঃ ! আপনি একবারে আমার দুঃখ তরণী পূর্ণ কল্লেন ? অণমি কেবল আপনার উপর নির্ভর কর্যে এ পর্য্যন্ত জীবন ধারণ কছিলেম, তা আপনার কি এ অধিনীর প্রতি একটুও দয়া হলোনা ! মধু । আহা ! প্রিয়সখি, আমি তোমার সঙ্গে চিরকাল সহবাস কর্যে অবশেষে আমাকে এই অবস্থা দেখতে হলো ! হায়! তোমার অদৃষ্টে কি এই ছিল ? ( রোদন । ) ইন্দু ! সখি, একি আক্ষেপের সময় ? তুমি বৃথা রোদন কচেচা কেন ? আমি আর এমন মরবার সময় কবে পাব! প্রাণেশ্বর যখন এ অনাথিনীকে পরিত্যাগ কর্যে গেছেন, তখন আর আমি এ প্রাণ কেমন কর্যে রাখি ! আমি এখন তার সহগমন কর্যে এ দুঃখের শেষ করি । কিন্তু মরুবার সময় যে তাকে আর দেখতে পেলেম না, তার সুমধুর বাক্য আর শুনতে পেলেম না, তার নিকট মনের দুঃখ কিছুই ব্যক্ত কতে পাল্লেম না, এইটি আমার মনে বড় দুঃখ রৈল । আহা ! সখি, আমি যদি এ সময়ে একবার তার চরণ সেবা কত্তে পাত্তেম, তার নিকট থেকে বিদায় নিতে পাত্তেম, তা হলে আমার মৃত্যু সময়কেও পরম মুখের সময় বলে বোধ হতো । তা আমার অদৃষ্টে তার কিছুই হলোনা । মধু । প্রিয়সখি, যার প্রতিকার হবার কোন উপায়