পাতা:ইন্দুপ্রভা নাটক - গিরিশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইন্দু প্রভ নাটক । ২৭ কর্যে চাভকিনী কদিন জীবন ধারণ কতে পারে ! এখন মৃত্যুই আমার এ রোগের পরম ঔষধ ! মধু । সে কি প্রিয়সখি ! এমন অমঙ্গলের কথা কি মুখে আমৃতে আছে ! । ইন্দু । সখি, র্যাকে জীবন, যৌবন, মন, সকলই সমর্পণ করেছি, তার যদি দেখা না পাই, তবে আর আমার জীবন ধারণে ফল কি ? হায় ! কেন আমি সে দিন দেবমন্দিরে গিছলেম ! কেনই বা সে মনোহর রূপ হৃদয়মন্দিরে স্থাপন করেছিলেম ! তা এতে আমারই বা দোষ কি ? সুধাকর উদয় হলে কুমুদিনী কি স্থির হয়ে থাকতে পারে ? বাস । রাজনন্দিনি, যখন তিনি তোমার সমুদয় পরিচয় পেয়েছেন; তখন রণক্ষেত্র থেকে প্রত্যাগমন করেই তোমাকে বিবাহ করবার জন্যে দূত পাঠাবেন, তার কোন সন্দেহ নাই। আমার ত, ভাই, বেশ্ব বোধ হচ্চে যে, তিনিও তোমার ন্যায় অসুখে কালষাপন কচ্চেন । ইন্দু । ( দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া ) সখি, তাও কি তুমি মনে কর। কুমুদিনীরই একচন্দ্র বৈ গতি নেই, কিন্তু চন্দ্রের ত অনেক কুমুদিনী আছে । মধু । প্রিয়সখি, তোমার শরীর অবসন্ন হচ্চে, গাত্র কম্পিত হচেচ ; অণর সন্ধ্যে ও হয়েছে । তা চল এখন সঙ্গীত শালায় যাই । সে খানে তোমার মন অনেক সুস্থির হতে পারবে । ū ইন্দু । সখি, এখন আমার সকল স্থানই সমান । এই ত সেই উদ্যান ; এখানে এসে আগে কত আনন্দ উপভোগ করেছি। ঐ যে বৃক্ষগুলি দেখছ, ওদের কাকেও দুহিতা,