পাতা:ইন্দুপ্রভা নাটক - গিরিশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ջ Հ ইন্দুপ্রভ নাটক । Ö মনে জগন্মাতা বসুন্ধরা যেরূপ বিমর্ষ হন, মহারাজকে এরূপ দুঃখিত দেখে প্রজা সমূহও সেইরূপ পরিতাপিত হয়েছে। সকলেরই মুখাংশুমালী অস্তাচল চুড়াবলম্বী হয়েছে ; দুঃখবিভাবরী প্রভূত পরাক্রমে সকলের মানসপথে অধিকার বিস্তার করেছে । রাজা । ( দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া ) মন্ত্রি, বজ্রাঘাতে যে বৃক্ষ একবার দগ্ধ হয়েছে, তাকে পূনজীবিত কতে যাওয়া বৃথা আশ বৈ ত নয় । হায় ! আগ্নেয়গিরি যেরূপ অগ্নিকে চিরকাল বক্ষঃস্থলে ধারণ করে, আমাকেও কি সেইরূপ এ বিষাদগ্নি চিরকাল হৃদয়ে ধারণ কতে হলো ! সিংহের গৃহে অবশেষে শৃগাল এসে চৌর্য্যবৃত্তি অবলম্বন কল্পে !— মন্ত্রী । দেব, ভবাদৃশ ব্যক্তির এরূপ ব্যাকুল হওয়ু কোনমতেই যুক্তিসিদ্ধ নয় । দেখুন, সাগর তটই তরঙ্গের প্রচণ্ড অণঘাত সর্ব্বদা সহ্য কর্যে থাকে । রাজা । মন্ত্রি, সাগরতট তরঙ্গের প্রচণ্ড আঘাত সহ্য করে বটে, কিন্তু যখন প্রবল ঝটিকায় সাগর বিচলিত হয়, তখন কি সে আঘাতে সে স্থির হয়ে থাকৃতে পারে ? মন্ত্রী । মহারাজ, মনুষ্যেরা সময়ানুসারে সুখ দুঃখের অধীন হবে, এ নিয়ম ত সংসারে পূর্বাপর চলে আসছে । তা আপনার এ দুঃখ-তিমির যে মুখশশিদ্বারা দূরীকৃত হবে, তার কোন সন্দেহ নাই । এক্ষণে আপনি এক্টু সুস্থির হলে আমরা পরম সুখ লাভ করি । রাজা । ( দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া ) মন্ত্রি, আমার এ দুঃখ-বিভােবরী কি আর কখন অবসান হবে ? আমার যদি এ রূপ দুরদৃষ্ট না হতো তা হলে যে আমার রাজপুরী হতে