পাতা:ইন্দুপ্রভা নাটক - গিরিশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ ও ২ ইন্দু প্রভা নাটক । মধু । প্রিয়সখি, দুঃখের পর সকলেরই মুখ হয় । তা আমাদের কি এ দুঃখের শেষ নাই ? বিধাতঃ ! তোমার মনে কি এই ছিল ? ( রেদিন । ) ইন্দু । সখি, আর বৃথা অণক্ষেপ কল্লেই বা কি হবে ! যদি কোন দুষ্ট ব্যাধ একটা সারিকা ধরে এনে পিঞ্জরে বদ্ধ কর্যে রাখে, তা হলে তার মুক্ত হবার কি কোন উপায় থাকে ? আর তার আর্তনাদ শুনলে সে পাষাণহৃদয়ে কি দয়ার উদয় হয় ? আমাদের সেই দশা ঘটেছে বৈত নয় । তা আমাদের দুঃখে এখন আর কে দুঃখিত হবে বল ! ( রোদন । ) মধু প্রিয়সখি, তোমার কথা শুনৃলে অন্তরাত্মা শীতল হয় । হায়! হায় ! এমন সরলাবালার অদৃষ্টেও এত যন্ত্রণা ছিল । বিধাতার কি নিষ্ঠুরতা প্রকাশের স্থান ছিল না ! ইন্দু । ( সরোদনে ) সখি, আমাদের এ বিপদ হতে কে উদ্ধার করবে ! আমরা জগদীশ্বরের কাছে এত কি অপরাধ করেছি যে, তিনি এত কষ্ট দিয়েও ক্ষান্ত হচেচন না ? মধু । প্রিয়সখি, আর কেদন । ( রেদিন । ) ইন্দু (মধুরিকার হস্ত ধরিয়া ) সখি, তুমি আমার জন্যে কত কষ্ট সহ না কচ্চো ! আমি যদি দেবতাদের কাছে একান্ত অপরাধিনী হয়ে থাকি, তা হলে তারা আমাকে যথোচিত দণ্ড দিয়ে ক্ষণস্তু হলেন না কেন ? তারা কি আমার জন্যে তোমাকে অবধি কষ্ট দিতে প্ররত্ত হলেন ? ( রেদিন ।) মধু । প্রিয়সখি, আমি কি তোমার জন্যে কোন প্রকার কষ্ট সহ কত্তে ভয় করি ? আমি এততেও তোমার মুখ দেখলে সব ভুলে যাই । ইন্দু । ( মধুরিকার গলা ধরিয়া ) সখি, আমি এ বিপদ