পাতা:ইন্দুমতী - যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
ইন্দুমতী।

বজ্রের নিৰ্ঘোষ সেই চপলা চমক,
নদী-বক্ষে তার সেই জীবন সংগ্রাম।
কভু দেখে যেন বেড়ি চারি ধার তাঁর,
হাংগর কুম্ভীর কত বিকট বদন
ব্যাদন করিয়া আসে করিতে গরাস।
পার্শ্বে আসি পতি তার জল আস্ফালনে
দিতেছে তাড়ায়ে দূরে! যেন সন্তরণে
ক্লান্ত দেহ ইন্দুমতী যেতেছে ডুবিয়া।
ছুটে এসে পতি তারে লয়ে পৃষ্ঠপরে,
মথিত করিয়া জল লয়ে যায় দূরে।
ওই বুঝি পতি তার ডুবিল সলিলে
শ্রমে অবসাদে ক্লান্ত ভাসিতে অক্ষম।
ওই বুঝি ডুবিলরে অকূল পাথারে
ইন্দুর সর্ব্বস্য ধন, ইন্দুর জীবন।
চিৎকার করিয়া উঠি রুগ্না ইন্দুমতী
পড়িত মুর্চ্ছিতা হ’য়ে শয্যার উপরে।
কিভু বা মেলিয়া তার বিশাল লোচন
চাহি রাণীমার প্রতি বিস্ময়ে বিহবলে,
কাতরে বলিল “মাগো! কেবা তুমি বল
কোথা গেল পতি মম জীবন আমার?”
 এরূপে ভুগিয়া সপ্ত-বিংশতি দিবস
হইল ইন্দুর শেষে জ্ঞানের সঞ্চার।