পাতা:ইন্দুমতী - যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
ইন্দুমতী।

 আর নগেন্দ্রের? শুধাও হৃদয় তা'র
অক্ষম লিখিতে তাহা লেখনী আমার।
 নগেন্দ্রের পুত্র কন্যা বড় অনুগত
হইল ইন্দুর, তা'রা ছায়ার মতন,
থাকিত তাঁহার কাছে দিবস রজনী।
কত কথা কত গল্প, ভক্তি জ্ঞান পূর্ণ,
শিখিত তাহারা সাদা ইন্দুমতী কাছে।
শৈশব কৈশোর কাল কি সুন্দর কাল!
হৃদয়ের বৃত্তিগুলি কেমন কোমল,
সরল, আবেগ পূর্ণ, পবিত্রতাময়।
বালক বালিকা দেখে শৈশবে কৈশোরে
পৃথিবী আপনি তার, নাহি ভেদ জ্ঞান।
প্রবলা, শিক্ষার ইচ্ছা, অনুকরণের।
যেমন আদর্শ তা'রা দেখিবে সম্মুখে,
সে মত তা'দের হবে স্বভাব গঠন।
তাই রাণীমার আর ইন্দুর আদর্শে,
চরিত্র তা’দের হ’তে লাগিল গঠিত।
 দুইটি বৎসর গেল দেখিতে দেখিতে
ইন্দুমতী আসিয়াছে রাণীমা আশ্রয়ে।
দেব আরাধনা আর পতি আরাধনা
কতই করিছে ইন্দু, কিন্তু পতি তাঁর
কেন নাহি আসিলেন এ দীর্ঘ সন্ধানে,