পাতা:ইন্দুমতী - যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টম সর্গ।
৭৩

যেন শূন্যগর্ভ সব। সুখেতে বিষাদ,
বিষাদে আনন্দ, আলো ছায়া, পাপ পুণ্য,
জড়াইয়া পরস্পরে আছে পাশাপাশি।
অনন্ত মঙ্গলময় এক মহাসূত্রে
রেখেছে গাঁথিয়া যেন এক সাথে সব।
 এমন সময়ে আসি পঙ্কজিনী ধীরে,
পুত্রের মৃত্যুর পর প্রথম সাক্ষাতে,
চাপিয়া ধরিল ত্রস্তে ইন্দুর নয়ন।
পরশে বুঝিয়া ইন্দু বলিয়া উঠিল
“চিনেছি তোমায়, ছাড়, স্নেহময়ী দিদি।”
সম্ভ্রমে উঠিয়া শীঘ্র লয়ে পদধূলি
বিস্ময়ে দেখিল চাহি, প্রফুল্ল আননা
পঙ্কজিনী দিদি তা’র। শোক দুঃখ ছায়া
লেশ মাত্র নাহি তাঁ’র অন্তরে বাহিরে।
মহিমা মণ্ডিত কিবা স্বর্গীয় মাধুরী
ললাটে বদনে তাঁ’র শোভিছে সুন্দর।
প্রশান্ত স্নেহের ভাব, হাসিভরা মুখ,
দেখিয়া দেখিয়া ইন্দু ফেলিল কাঁদিয়া—
“ক্ষমা কর দিদি তুমি, আমি যে তোমার
এই বিপদের হেতু, ক্ষমা কর তুমি।”
দ্বিতীয় কথাটী আর কহিবার আগে
এক হাতে চাপি’ ধরি ইন্দুর বদন,