পাতা:ইন্দুমতী - যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৪
ইন্দুমতী।

জড়াইয়া দেহ তা’র অন্য হাত দিয়া,
টানিয়া আপন বক্ষে মাতা পঙ্কজিনী,
বলিল ‘‘এসেছি ভগ্নি তোমার দুয়াবে
ক্ষমা ভিক্ষা হেতু, নহে ক্ষমা করিবারে।
ক্ষমা কর দোষ বোন্ আমার পতির।
ক্ষমাযোগ্য তিনি এবে। একটী আঘাতে
ফিরিয়াছে মতি গতি, হয়েছে আশ্চর্য্য
পরিবর্ত্তন তাঁহার। কে বলে জগতে
নাই পুণ্যের শকতি? মহৎ কার্য্যের
নাহি কোন শুভ ফল? নবীন জীবন
পারে না মানবে দিতে, জড়েতে চেতনা?
নবীন জীবন, আর নবীন চেতনা
দিয়াছে সন্তান তা’র পিতারে আপন,
সতীত্বের বেদীমূলে দিয়া নিজ প্রাণ।
শশাঙ্ক আমার ধন্য, ধন্যা আমি আর
জননী বলিয়া তা’র। ধন্য পিতৃকুল।
রাণীমা বংশের যোগ্য করিয়াছে কাজ।
মরণ অধীন সবে। কিন্তু বল বোন্‌
ক’জন মরিতে পারে মানুষের মত?
জগতে সকলে আসে কাজ করিবারে
কয় জন পারে বল করিবারে তাহা?
সংসারে আসিয়া বাছা করিবারে কাজ