পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শ পরিচ্ছেদ । > * * স্থান ছড়িরা ও গেল। কি করেন প্রাণের দায়ে সকল কার্যাই ক্ষরিতে হয় । মঃার মহাশয়ের লুকান কার্য্য সমাধা হইল দেখিয়া সরস্বতী প্রদীপ নির্ব্বাণ করিয়া দিয়া দ্বার খুলিল । ইন্দ্রচক্র কোন কথা ন। বলিয়া গৃহ প্রবেশ করিলেন । ঘর অন্ধকার দেখিয়া পুনরায় বাহির হইলেন, বলিলেন "আলো জ্বাল’ ভয় জড়িতস্বরে সরস্বতী বলিল “আগুণ নাই কি দিয়ে জালো জ্বালবো ?” ইন্দ্র চন্দ্রের মনে বিষম সন্দেহ হইল। বলিলেন, চকমকি माझे ?’ “অন্ধকারে কোথায় হাত ড়ে পাৰ’ বলিয়া সরস্বতী আপত্তি করিল । “আচ্ছ। আমিই বার কচ্চি” বলিয়া ইন্দ্রচন্দ্র পুনরায় গৃহ প্রবেশ করিয়া চকুমকি বাছির করিয়া অণু,পাদন করত: প্রদীপ জ্বালিলেন । দীপ লইয়। ইন্দ্রচন্দ্র যেমন গৃহের মধ্যে প্রবেশ করিলেন, আর সেই অবসরে মাষ্টার মহাশয় তক্তাপোষের নীচু হইতে বাহির হইয়া এক লম্ফে একেবারে প্রাঙ্গনের উপর গিয়া পড়িলেন । লাফাইয়া পড়িলেন বটে,কিন্তু সামলাইতে পারিলেন না ; গুড় নি বৃষ্টিতে প্রাঙ্গন অভ্যস্ত পিচ্ছিল হইয়াছিল বলিয়া পড়িয়া গেলেন । পলায়মান ব্যক্তিকে ধরিবার জন্ত ইন্দ্রচন্দ্রকে কোন কষ্ট করিতে হইল না –আস্তে আস্তে গিয়া মাষ্টার মহাশয়ের হস্ত ধরিলেন । মাষ্টার মহাশয়ের মুখে আর কোন কথা নাই ; ইন্দ্র চন্দ্র বলিলেন, “আপনার কোন ভুবু নাই আমার সঙ্গে আসুম ।” ইন্দ্র চন্দ্রের মাষ্টার মহাশয় পুনরায় পরস্বতীর গৃহে প্রবেশ করিলেন। সরস্বতী এই সমস্ত ব্যাপার দেখিয়া এক পাশ্বে দাড়!