পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ পরিচ্ছেদ । ১৩১ ৷ বালক হস্ত প্রসারণ করিয়া দেখাইল “ঐ আমার মা ভিক্ষা কর চে ।” - - যুবতী যাহা দেখিলেন তাহাতে আর অগ্রসর হইতে পারিলেন না ; শাশুড়ির দিকে ফিরিয়া বলিলেন “ওকে দেখেচো মা ?” “ওমা! এজে আমাদের রায়েদের সরস্বতী না ? ও সরস্বতী েতার একি দশ ?” অৰ্দ্ধবয়সী অগ্রসর হইয়া ভিকারিণী সরস্বতীর নিকটে দাড়াইলেন । আর সরস্বতী কি করিল ? সরস্বতী নাহা করিল, তাহ নির্জীব লেখনী লিখিতে অক্ষম। সরস্বতীর চক্ষে শতধার ; “তোমরা থাকৃতে আমার এই দুর্দশ কলে।” বলিয়া চিৎকার শব্দে র্কাদিয়া উঠিল । সরস্বতীর শিশুপুত্র যুবতীর ক্রোড়ে ছিল, মাত কঁদিতেছে দেখিয় সে অtধ অধি স্বরে যুবতীকে বলিল “ওগো আমাকে পয়সা ন দাও, মাকে দীও না; মা যে কাদচে ।” - বালক যুবতীর ক্রোড় হইতে নামিবার প্রয়াস পাইতেছে দেখিয়া যুবতী স্নেহস্বরে বলিলেন “ভিড়ে নেবোন। বাবা ।” অৰ্দ্ধবয়সী বিধবা এবং তাছার পুত্রবধূ বিধবা যুবতীর পরিচয় বোধ হয় বুদ্ধিমান পাঠককে দিতে হইবে না ; ত৷ দিয়া রাখি, কারণ যদি কেহ বুঝিতে ন পারিয়া থাকেন। অদ্ধ বয়সী বিধবা vচন্দ্রশিখর চট্টোপাধ্যায়ের কনিষ্ঠ স্ত্রী লীলাবতী, আর বিধবা যুবতী ইন্দ্রচন্দ্রের স্ত্রী মহামায়া মহামামা লীলাবতীকে বলিলেন “ম এদের দেশে নিয়ে যাবে ?” “আপনারাই খেতে পাই না তা এদের খাওয়াব কি ?” বলিয়া লীলাবতী আবার চক্ষের জল মুছিলেন । । “আমাদের দুজনের দুমুটো জুটে তে; এদের ও ভূমুটো