পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ । αά সম্মতিস্থচক মস্তক সঞ্চালন করিলেন , শু্যামবাবুর সম্মতি পাইয়। মাষ্টার মহাশয় রাজকুমারকে বলিলেন, “দেখ রাজকুমার, তুমি মুখুর্য্যে মহাশয়ের যে উইল লেখা পড়া করেছিলে, তাঙ্কে ইন্দ্র চন্দ্রের পনর আন তিন পাই, আর কৃষ্ণধনের এক পাই এই রকম লেখ নাই ? রাজকুমার উত্তর করিল “আজ্ঞা হঁ।” “সেই উইল খানি আবার পাল্টে লিখতে হবে,—কেমন পারবে ? বলিয়া মাষ্টার মহাশয় চকিতনেত্রে একবার গৃহের চতুর্দিক এবং কবাটের দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন । রাজকুমারের মুখে কথা মাত্র নাই ; কাষ্ঠ পুতলীবৎ বসিয়া রহিল । রাজকুমারকে নিরুত্তর দেখিয়া মাষ্টীর মহাশয় ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন । বলিলেন “কি হে এতে রাজি নাই ?’ গৃহ মধ্যে মাষ্টারের ব্যস্ততা দেখিয় সকলেই ব্যস্ত হইয়। উঠিল । সকলেই একেবারে বলিয়। উঠিল, “রাজকুমার বাবুর মুখে যে আর কথাটা নাই।” রাজকুমার বুঝিতে পারিল যে, সকলেই তাহার কথা শুনিবার জন্ত বিশেষ উৎসুক হইয়া উঠিয়াছে । বুঝিতে পারিল বটে, কিন্তু কি উত্তর দিবে এপর্য্যস্ত রাজকুমার তাহ স্থির করিতে পারে নাই । “ই। —** কি —“ন’ কোন উত্তর না পাওয়ায় মাষ্টার মহাশয় পুর্ব্বাপেক্ষ অধিক ব্যস্ত হইয়। উঠিলেন, বলিলেন “দেখ রাজকুমার যদি তুমি এতে রাজি হও তবে তোমাকে অতুল ধনের অধিপতি করে দেবো ; আর তোমার কোন কষ্ট থাকবে না । একট। উত্তর দাও ।” - রাজকুমার বিবেচনা করিবার সময় পাইল না । বলিল “বলুন, পাণ্টে কি লিখতে হবে ?”