পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ । *〉 প্রভাতে রাজকুমারের নেসা ছুটিল। রাজকুমার বাটী আসিয়া ছায়াময়ীর হস্তে টাকাগুলি দিয়া বলিল, “বুঝিয়া খরচ করিও ।” স্ত্রীলোক অবলা একেবারে পঞ্চাশ টাকা হস্তে পাই য়ু । বিশেষ সস্তুষ্ট হইল। বলা বাহুল্য যে রাজকুমার কোথা হইতে টাক পাইল তাহা জিজ্ঞাসাও করিল না । তবে ইতিপূর্ব্বে যাহাদের নিকট ঋণ করিয়াছিল, তাহদের পরিশোধ করিবার কথা বলিল । রাজকুমার উত্তর করিল, “তুই চারি দিন বাদে আরও কিছু টাকা পাওয়া যাবে ; সেই টাকা থেকে শোধ করে ।” ছায়াময়ী আর কিছুই বলিল না। অদ্য রাজকুমার এই টীকা হইতে কয়েকটা টাকা লষ্টয়া নিজে বাজার করিলেন । জুতা, জামা, কাপড় প্রভৃতি নিজের ব্যবহার্ষ্য সামগ্রী কিনিল । একটা পাট কিনিয়া গ্রাম্য দেবী বিশালক্ষ্মীর নিকটে পূজা দিয়৷ পাড়ার লোকের বাটতে প্রসাদ পাঠাইয়া দিল । রাজকুমারের ব্যাপার দেখিয়া পাড়ার লোক অবাক । যে রাজকুমার থাইতে পায় না, সে আজ প্রসাদ বিতরণ করিতেছে । রাজকুমারের চাকুরী যাইবার পর হইতে কেহ যাহার স্কন্ধে গামছা ব্যতীত একখান চাদর দেখে নাই, সেই রাজকুমার অষ্টপ্রহর কাল পিরাণ গায়ে দিয়া বেড়ায় ; রাজকুমারের পায়ে ইংরাজী জুতা ; কাজেই গ্রামের সাদা চোখে গুড়ক খোরের কানাযুদ্ধ। আরম্ভ করিল ; ক্রমে ক্রমে ইহ। তাহাদের গৃহিণীদিগের কর্ণে উঠিল ; তাহারাও মাঠে ঘাটে জল্পনা করিতে লাগিল । কেহ বলিল, “বোলেদের পুকুরে একটা জক ছিল রাজকুমার সেই টাকা چھَ