পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や8 ইন্দ্রচন্দ্র । লের কথা জাগিয়া উঠিল; মনে হইল চট্টোপাধ্যায় মহাশয় যেন সকলি জানিতে পারিয়াছেন। কাজেই রাজকুমার বাটতে প্রবেশ করিতে না পারিয়৷ পথের পাশ্বে একটা বৃক্ষের তলায় দাড়াইয়া রহিল । বেলা দুইটা বাজিল তথাপি রাজকুমার সেই বৃক্ষমূলে দাড়াইয়া আছে, মাষ্ট্রীর মহাশয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় নাই । ক্রমে যত বেলা বাড়িতে লাগিল রাজকুমারের মন ততই উদ্বিগ্ন হইতে লাগিল । অনেকে পথ দিয়া যাইতেছে, কিন্তু কেহই রাজকুমারকে জিজ্ঞাসাও করে না । অনেকক্ষণের পর হরে খনিনামার সঙ্গে রাজকুমারের সাক্ষাৎ হইল । হরে রাজকুমারকে প্রণাম করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “অনেকদিনের পর দাদাঠাকুরের চরণ দর্শন হলো ; তবে কি মনে করে দাড়িয়ে রয়েছেন ।” রাজকুমার মাষ্ট্রার মহাশয়ের জন্ত বিশেষ উদ্বিগ্ন হইয়াছিল, এই জন্য দেশকাল পাত্র বিবেচনা না করিয়াই হরেকে বলিল, “হরিচরণ আমার একটী কাজ করে দিবে ?” হরিচরণ বলিল, “কি করতে হবে বলুন !” রাজকুমার মাথা চুলকাইতে চুলকাইতে বলিল, “একবার মাষ্ট্রার মহাশয়কে ডেকে দিতে পার ?” হরিচরণ উত্তর করিল, “পাররো না কেন, কিন্তু তিনি তো এখানে নাই, ছমাসের ছুটী নিয়ে বাড়ি গেছেন।” রাজকুমারের মন একবারে দমিয়া গেল ; হরিচরণকে কোন কথা না বলিয়া বরাবর শুামবাবুর বাটতে গিয়া উপস্থিত হইল । শুীমবাবু তখন কোন কার্য্যোপলক্ষে বাট হইতে বাহির হইতেছিলেন, সম্মুখে রাজকুমারকে দেথিয় জিজ্ঞাসা করিলেন, “কিছে রাজকুমার দুপুর বেল কি মনে করে ?”