পাতা:ইন্দ্রচন্দ্র.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৬ | ੋਲ চটলেন । বলিলেন, “কিহে বাপু গাই নাই তো বলদ ছন্নে দেবো না কি ?” এইবার রাজকুমার বিষম ক্রুদ্ধ হইয়া উঠিল। বলিল, “ন দেন এখনি টের পাবেন । আমি সব কথা গোল করে দেবো ।” রাজকুমার বাড়াবাড়ি করিতেছে দেখিয়া শু্যামবাবু বলি, লেন, “দেখ রাজকুমার তুমি গোল করে আমার কিছুই করতে পারবে না ; বরং আমি যদি গোল করি তো তুমি যে কাজ করেছে তার জন্তে উণ্টে তোমাকেই চোঁদবৎসর যেতে হয় ; বুঝতে পারলে ? আমি বারণ করে দিচ্চি, খবরদার তুমি আর আমার বাড়ি এসে না । এবার এলে অপমান হবে, আর আমি নিজেই তোমাকে ধরিয়ে দেবো । এখন মানে মানে বাড়ি যাও ।” শু্যামবাবুর কথা শুনিয়া বাস্তবিকই রাজকুমার মাথায় হাত দিয়া বসিয়া পড়িল । এতদিনের পর রাজকুমারের জ্ঞান হইল ; রাজকুমার এতদিনের পর বুঝিতে পারিল কি অন্যায় কার্য্য করিয়াছে। মুখে কথা নাই,চক্ষের জলে রাজকুমারের বক্ষ ভাসিয়া যাইতে লাগিল । শু্যামবাবুর পী জড়াইয়া ধরিয়া বলিল “মহাশয় আমাকে বাচনি ; আমার আর কেউ নাই । আমি কিছুই চাই না, কেবল এক ভিক্ষ আমাকে জেলে দেবেন না।” শুrমবাবু দেখিলেন, “এতক্ষণের পর যথার্থই কেঁদে বান্ধ কলে পড়িয়াছে।”একটু আনন্দ হইল ; মনে মনে বলিল ইংরাজি মেজাজের কাছে দেবতাও জবা তা,মানুষ কোন ছার । রাজকুমার পায়ে ধরিয়া তাহার মুখের দিকে চাহিয়া আছে দেখিয়া মনে একটু ইংরাজী দয়ার উদয় হইল । বলিলেন,"একথা যদি কারে কাছে কখন বল, তা হলে সেই দিনেই আগে তোমাকে