পাতা:ইয়ুরোপে তিন বৎসর.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্কট্‌লণ্ড।
৪৫

বিষ পাদপ-পত্রের মর্ম্মর শব্দ ব্যতীত আর কিছুই শুনিতে পাওয়া যায় না। পূর্ব্বে এই দুর্গ সুন্দর ছিল বোধ হয়। তাহার ভগ্নাবশেষের নিকট দিয়া যাইতে যাইতে কি উহার অনন্য নীরব গৃহের ভিতর বেড়াইতে বেড়াইতে সেই হতভাগিনী রাণীর কারাবাসের কথা অবশ্যই মনে পড়ে। আমরা সেই দিন এডিনবর্গ নগরে প্রত্যাবর্ত্তন করিয়া পরে ১৭ই সেপ্টেম্বরে তথা হইতে যাত্রা করিলাম।

 বাষ্প-শকটে আরোহণ করিয়া অর্দ্ধ ঘণ্টার মধ্যে হথরণ্ডেন গ্রামে উপনীত হইলাম। সপ্তদশ খৃঃ শতাব্দীতে ড্রমণ্ড নামক যে কবি ছিলেন, এই তাঁহার প্রিয়তম বাসস্থান ছিল। আমরা তথাকার দুর্গ ও ভূগর্ভস্থ গর্ভ সন্দর্শন করিলাম। কথিত আছে যে, এইস্থানে রবার্ট ব্রুশ কিয়ৎকাল অবস্থিতি করিয়াছিলেন। এস্থান হইতে একটা অতি সংকীর্ণ ও গভীর পথ দিয়া আমরা রসলীনে উপস্থিত হইলাম। সেই পথের যে রূপ অপরূপ শোভা, তাহা বর্ণনা দ্বারা পরের হৃদয়ঙ্গম করা অতি কঠিন। উভয় পার্শ্বে প্রকাণ্ড শৈল সকল সরল ভাবে উথিত হইয়াছে, তন্মধ্যে গভীর সঙ্কীর্ণ পথ, উপরে গিরি-তরু অন্ধকার বিতরণ করিতেছে, এবং নীচে এস্কনাম্নী নদী তীরের ন্যায় দ্রুতবেগে প্রস্তরখণ্ডের মধ্য দিয়া কুল কুল ধ্বনি করতঃ সম্বাহিত হইতেছে। এই কান্তার হইতে বহির্গত হইয়া আমরা রসলীনে পৌছিলাম। তথায় একটা ভগ্ন দুর্গ ও পুরাতন গির্জা ঘর আছে। কথিত আছে যে, দ্বাদশ খৃঃ শতাব্দীতে এই ঘর নির্ম্মিত হইয়াছিল। উহার ভিত্তি ও ছাদ প্রস্তরনির্ম্মিত এবং ঐ ভিত্তিতে অতি সুচারুরূপে খোদিত