পাতা:ইয়ুরোপে তিন বৎসর.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
লণ্ডন নগর।
৫৫

প্রকাশ করিতে আরম্ভ করে; এই সকল গৃহে মৃত্যু সতত অতিথি। কুপরিচ্ছদ ছোট ছোট বালকবৃন্দ ভাবি সাংসারিক সুখে জলাঞ্জলি দিয়া পথের ভিখারী হইয়া পথিকগণের নিকট দুই এক পয়সা, ভিক্ষা পাইয়া প্রদীপ্ত জঠরানল কথঞ্চিৎ নির্ব্বাণ করে।

 যাহা বর্ণনা করিলাম, তাহা অত্যুক্তি জ্ঞান করিবেন না, তবে এই মাত্র বলা উচিত যে, লণ্ডনের সকল মজুরেরা এরূপ নহে। তাহাদিগের মধ্যে যাহারা অতি মন্দ, উল্লিখিত বিবরণে তাহাদিগকেই লক্ষ্য করা গিয়াছে।

 পল্লীগ্রামস্থ শ্রমীগণের অবস্থা কিছু ভাল, তাহাদিগের মধ্যে সুরাপান যে নাই, এমন কথা বলা যায় না। তবে তাহা তত অধিক নহে, এবং নগরের লোক তাহাতে আসক্ত হইয়া যে পরিমাণে পরিবারের সুখ দুঃখ নিরপেক্ষ হয়, পল্লীগ্রামস্থ লোকের কোন ক্রমেই তদ্রূপ হইতে পারে না। তথাকার কোন ভবনে যদৃচ্ছাক্রমে প্রবেশ করিলে, যাহা দৃষ্টিগোচর হয়, তাহা লোচনানন্দদায়ক সন্দেহ নাই। দেখা যায়, মাতা সন্তানগণ লইয়া অবিসম্বাদে বাস করিতেছে, এবং দীনভাবাপন্ন হইলেও বালক বালিকাগণের আস্যদেশ স্বাস্থ্যজনিত সুরঙ্গে রঞ্জিত রহিয়াছে। তাহারা সচরাচর রুটি ও পনির এবং সপ্তাহ মধ্যে দুই কি তিন দিন মাত্র মাংস খাইতে পায়। ইংলণ্ডের কোন বোন স্থানে পল্লীগ্রামস্থ কৃষকপত্নীগণ একটা শূকরশাবক ক্রয় করিয়া তাহাকে যত্নে প্রতিপালন করে, এবং যখন সে বিলক্ষণ হৃষ্টপুষ্ট হয়, তখন তাহাকে বধ করিয়া তাহার মাংস সযত্নে রাখিয়া দেয়, এবং সময়ে সময়ে তাহা হইতে এক এক