উপাসনান্তে তাহাদিগকে একত্রে সামান্যরূপ অন্নাহার করিতে দেখিলে অধিকতর আনন্দ জন্মে। এই বিষয়ে আমি একটা কবিতা লিখিয়াছি, তাহা আপনাকে পাঠাইতেছি।
অনাথ শিশুদিগের ধর্ম্ম-সঙ্গীত।
সুন্দর পুতলী সম তোমরা সকলি।
কে দিল ত্বদীয় কণ্ঠে কোকিল কাকলী।
ধর্ম্মের সঙ্গীত গাও আধ আধ স্বরে।
স্বর্গের বালক যেন মর্ত্তের উপরে।
পাপে নহে কলুষিত শুদ্ধমতি যেই।
কিশোরের অন্তরের স্বতঃ ভাব এই।
আপনি উদয় হয় বাধা নাহি মানি।
পবিত্র অন্তর হতে যেন প্রতিধ্বনি।
সেইরূপে পাখিগণ সুমধুর স্বরে।
নিজ গূঢ় মনোভাব প্রকাশিত করে।
সেইরূপে রজনীতে কানন রসিয়া।
মনোসুখদুঃখ গায় নিকুঞ্জ মোহিয়া।
সুন্দর বালকগণ ত্বদীয় বদন।
বাসন্তী ফুলের কান্তি প্রিয়-দরশন।
যতবার দেখি আরো দেখিবারে চাই।
হেন মনোলোভা শোভা আর কোথা পাই।
কিশোরের অন্তরের ভাব যে সকল।
উজল করিছে মৃদু বদন কমল।
কখন সে মুখ-ছবি মলিন ছায়ায়।
কভু হাস্যে সমুজ্জ্বল তরুণার্কপ্রায়।