নিশির শিশির-সিক্ত প্রভাত কমল।
তদুপম সে শিশুর বদন উজ্জ্বল।
হেরে ভগিনীর মুখ সতৃষ্ণ নয়নে।
আরো ধীরে ধীরে যায়,তার অঙ্ক পানে।
সোদর সোদরা দোঁহে করয়ে ক্রন্দন।
উভে মিলি করে ঈশ্বরের আরাধন।
কেন কাঁদে নাহি জানে অজ্ঞান সোদর।
না জানে যে পিতা এবে ত্যক্ত কলেবর।
প্রেম ভরে করে বালা পুষ্প বরিষণ।
সমাধির স্থানোপরি করিয়া যতন।
প্রতি রাত্রি বন-পুষ্প করিয়া চয়ন।
সাজায় সমাধিস্থল করিয়া যতন।
মোছাইল সোদরের সজল নয়ন।
দোঁহে করে পরস্পর স্নেহ-আলিঙ্গন
পর ঘরে যায় ফিরে স্নেহার্দ্র অন্তর।
অন্ধকারে ঢাকে নিশা নিজ কলেবর।
* * * * * *
একদা আমি অবৈতনিক সৈন্যদিগের যুদ্ধ-কৌশল দেখিবার মানসে ব্রাইটন নগরে গিয়াছিলাম। সেনাগণ দুই দলে বিভক্ত হইল। একদল সদ্যাগত আক্রমণকারী, অপর দল রক্ষকের ভাবাবলম্বন করিল। তিন ঘণ্টা পর্য্যন্ত তুমুল সংগ্রাম হইল, পরে আক্রকণকারীরা তাড়িত হইয়া ক্রমে সমুদ্র-তীর পর্য্যন্ত পশ্চাদ্ধাবিত হইল ও পরিশেষে পরাজয় স্বীকার করিল। এই কৃত্রিম যুদ্ধ-ব্যাপার প্রত্যক্ষ করিলে প্রকৃত যুদ্ধ কি প্রকারে হইয়া থাকে, তাহা বিলক্ষণ হৃদয়ঙ্গম হয়। এবং আমি এই সমস্ত