স্ত্রীপুরুষদিগকে স্ব স্ব ক্ষুদ্র ভবন হইতেও বহির্গত হইতে গ্রাম্য গির্জাভিমুখে যাইতে দেখিলেও তাঁহার হৃদয়কেন্দ্র লোকপ্রিয়তা রসে প্লাবিত হয়। ভূস্বামীকে সপরিবার যাইতে দেখিলে গ্রামবাসিগণ সসম্ভ্রমে নমস্কার করে ও তাহাদিগের আর্য্যগণেরাও সস্মিতমুখে তাহা স্বীকার করিতে কৃপণতা করেন না। উপাসনার কার্য্য সম্পূর্ণ হইলে ভূস্বামীর ভবনে গ্রাম্য বালক-বালিকাদিগকে সমবেত হইতে এবং সেই দিবস এক উৎসব-দিনের ন্যায় অতিবাহিত হইতে দেখা যায়।
পঞ্চম অধ্যায়।
আয়ার্লণ্ড ও ওয়েল্স; ১৮৭০ সালের ১৫ই জুন হইতে ১৫ই জুলাই পর্য্যন্ত।
আমি আয়ার্লণ্ড দেশে যাওয়ার বিষয় সংক্ষেপে বলিতেছি। ১৫ই জুন দিবসে লণ্ডন হইতে বহির্গত হইয়া ও কিয়ৎকাল বার্কশিয়রে থাকিয়া আইরিস সাগর পার হইলাম, এবং ঐ মাসের ২১শে দিবসে আয়র্লণ্ডের রাজধানী ডব্লিন নগরে পেছিলাম। এই নগর অতি সুদৃশ্য, এখানে এক বিশ্ববিদ্যালয় ও সুন্দর উদ্যান আছে। লিফি নাম্নী নদী ইহার নীচে দিয়া প্রবাহিত হইতেছে। এই নদী অতি অপরিষ্কার। ডবলিনের অনতিদূরে কিংষ্টন নামক সমুদ্রতীরস্থ নগর ডবলিনবাসিদিগের আমোদ প্রমোদের স্থান; সমুদ্রকুলস্থিত নগরমাত্রেরই নানাবিষয়িণী চারুতা আছে। এখানে বৃদ্ধ ও রুগ্নগণ স্বাস্থ্যলাভ করিতে আইসে; এখানে ছাত্রবৃন্দ