বৃহৎ। এই নদের উপর আথলোন নামক নগর। আমরা তথা হইতে বহুজনাকীর্ণ লিমারিক নগর দেখিয়া পরে সানন নদের জলপ্রপাত সন্দর্শন করিতে গেলাম। বস্তুতঃ ইহা প্রকৃত জলপ্রপাত নহে; এখানে সানন নদের গভীরতা অতি কম এবং ইহা অতি আয়ত ও প্রস্তরময় গর্ভের উপর দিয়া ভীষণ বেগে ও কল কল শব্দে প্রবাহিত হইতেছে। চতুর্দ্দিকে বসন্তলক্ষী বিরাজিত, পাদপপুঞ্জে নদীর জল ছায়াময়, এবং ঐ জলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ প্রতিফলিত হইয়াছে। নদীর জল যেখানে সুগভীর, সেখানে অতি পরিষ্কার ও স্থির, অন্য স্থানে তাহার বেগগামী বারি ভূরি প্রস্তরখণ্ড প্রতিঘাতে বিচ্ছিন্ন ও বহুল ফেনময় হইয়া প্রবাবিত হইতেছে।
লিমারিক হইতে আমরা কিলানির প্রকাণ্ড হ্রদ দেখিতে গেলাম। এই হ্রদ আয়ার্লণ্ডের ভূষণ স্বরূপ এবং স্কটলণ্ডের পরম সুন্দর হ্রদের তুল্য। কিয়ৎকাল শকটে ভ্রমণ করিয়া একটা অতি অরণ্যময় উপত্যকার ভিতর দিয়া অশ্বারোহণে ভ্রমণ করিলাম।
তথা হইতে বিনির্গত হইয়া আমরা হ্রদের নিকট আসিলাম এবং এক খানি নৌকা ভাড়া করিলাম। চতুর্দ্দিকে যাহা দেখিতে লাগিলাম, তাহা বর্ণনা করা কাহার সাধ্য! কেবল এই মাত্র বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, পর্ব্বত, নদী, দ্বীপ, সাগর শাখা, ভূশাখা নিবিড়ারণ্য একস্থানস্থ হইয়া স্থল বিশেষের যে দুশ্চিন্তনীয় সৌন্দর্য্য বিধান করিতে পারে,তৎসমুদায়ই এখানে বিদ্যমান আছে। এই সকল হ্রদের চতুঃসীমায় উচ্চ পর্ব্বত থাকাতে, সেখানে একটি উচ্চ কথা কহিলে তাহা প্রতিধ্বনিত