পাতা:ইয়ুরোপে তিন বৎসর.djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৮
ইয়ুরোপে তিন বৎসর।

না। যাঁহাদের প্রচুর সঙ্গতি আছে, তাঁহাদের মধ্যেও অনেকে উদ্বাহ-শৃঙ্খলে বদ্ধ হইতে ইচ্ছুক নহেন। কিন্তু যুবতীরা মনে মনে বিবাহ করিতে অত্যন্ত ব্যস্ত, নচেৎ তাঁহাদিগের সুখের প্রত্যাশা কোথায়? বিবাহের বাজারে যুবাপুরুষ তত মিলে না, কিন্তু যুবতী স্ত্রী এত অধিক পাওয়া যায় যে, তন্মধ্যে অনেকে অবিক্রেয় হইয়া ফিরিয়া যান। এখানকার যুবতীদিগের বিদ্যাশিক্ষা পুরুষের মনোহরণের উপায় শিখিবার নিমিত্ত, চিত্তোৎকর্ষ সাধন করিবার উদ্দেশ্য নহে। অঙ্ক কি বিজ্ঞান, দর্শন কি অন্যান্য দুরূহ শাস্ত্র যুবতীগণের পাঠ্য পুস্তকের মধ্যে নাই; কেবল কাব্য, ইতিহাস, আশুবোধ সাহিত্য ও উপন্যাস ও পুরাবৃত্ত, কিঞ্চিৎ ফরাশিশ্ ভাষা, সুলেখন ও নৃত্য, গীত, বাদ্য, অর্থাৎ যদ্দ্বারা তাঁহারা পুরুষের চিত্তাকর্ষণ করিতে পারবেন, তাহাই শিখিলে তাঁহাদিগের বিদাশিক্ষার পর্য্যবসান হইয়া থাকে। আমাদের দেশে পিতা মাতা যেমন কন্যার বিবাহের জন্য ব্যস্ত হন, ইংলণ্ডে যুবতীগণ আপন আপন বিবাহ জন্য সেইরূপ ব্যস্ত, অথচ মাতাও সাহায্য করতে ত্রুটি করেন না। সভামধ্যে যুবতী কন্যা স্বাধীনতা প্রকাশ করেন না, সর্ব্বজনমনোরঞ্জিনী ও চারুশীলা হন। কোন বিষয়ে স্বীয় মতামত দৃঢ়তার সহিত ব্যক্ত করেন না। স্নেহ কি প্রীতি ভিন্ন অপর ভাব অস্ফুটিত রাখেন, রাজনীতি সম্বন্ধে কোন স্থির ও স্বতন্ত্র মত অবলম্বন করেন না। সকল বিষয়েই আপনাদিগকে স্নেহশীল ও সুকুমার বলিয়া পরিচয় দেন, যথার্থ মনের ভাব কখনই প্রকাশ করেন না। এবম্বিধ কৌশল ও প্রতারণাদ্বারা সভ্য জাতির মধ্যে রমণীগণ পুরুষের