মন আকর্ষণ করিতে ও বিবাহ সম্পাদন করিতে যত্ন করেন। এরূপ চতুরতা নিতান্ত গর্হিত না হইতেও পারে, কিন্তু ইহা দ্বারা যে মানব-প্রকৃতি অতি অশ্রদ্ধেয় হয়, তাহার কোন সন্দেহ নাই। আমাদিগের দেশে যে বিবাহ-প্রণালী প্রচলিত আছে, অনেকে তাহার নিন্দাবাদ করিয়া থাকেন। বস্তুতঃ যে প্রথার পরতন্ত্র হইয়া দশমবর্ষীয়া বালিকার স্কন্ধে দুর্ব্বহ চিন্তার ভার অর্পিত হয় এবং চতুর্দ্দশ বর্ষ বয়ঃক্রম কালে সে পর্ভবতী হইয়া আপন শরীর ও প্রসূত সন্তানের স্বাস্থ্য চিরকালের নিমিত্তে ভগ্ন করিয়া ফেলে, এমন প্রথা যে অতি গর্হিত ও দোষাবহ তাহা বলা বাহুল্য। কিন্তু ইংলণ্ডীয় যুবকগণ স্বেচ্ছামত দারপরিগ্রহ প্রথানুসারে স্বানুরূপ স্বভাবযুক্তা রমণী বাছিয়া লইতে পারেন, সুতরাং বিনা বিবাদবিসম্বাদে জীবনযাত্রা নির্ব্বাহের ও চিরকাল দাম্পত্যপ্রণয়ের সুখসম্ভোগের অমোঘ উপায় স্থির করিতে পারেন—যিনি একথা বলেন, তিনি হয় ইংরাজী কুসংস্কারাবিষ্ট, নয় নিজে প্রেম-সরোবরে নিমগ্ন। ফল কথা এই যে, অস্মদ্দেশীয় বালক যেরূপ ভাবী স্ত্রীর স্বভাব কিছুই জানিতে পারে না, ইংলণ্ডীয় যুবা পুরুষগণ শুভবিবাহের দিন পর্য্যন্ত ভাবী পত্নীর প্রকৃত স্বভাব প্রায়ই জানিতে পারে না।
এই সকল অনিষ্টের এক মাত্র মহৌষধি এই—তথাকার স্ত্রীলোকদিগকে স্বাধীনরূপে নিজ নিজ উপজীবিকার্থে সকল কার্য্য করিতে দেও, তাহাদিগকে বল যে তাহারা উদ্বাহ-শৃঙ্খলে বদ্ধ বা জনকজননীর গলগ্রহ না হইয়া স্বীয় ভরণপোষণের উপায় করিতে সমর্থ হইবে, তাহা হইলে তন্মধ্যে অনেকে