পাতা:ঈশদূত-যীশুখ্রীষ্ট - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশদূত যীশুখ্ৰীষ্ট বর্তমান—প্ৰত্যক্ষ পরিদৃশুমান জগৎ তাহার পক্ষে যেন কিছুই নয়। প্রাচ্য ভূভাগ যুগযুগান্তর ধরিয়া সমগ্র মানবজাতির শৈশবশয্যাস্বরূপ রহিয়াছে—তথtয় ভাগ্যচক্রের সর্ববিধ পরিবর্তন দেখিতে পাওয়া যায়। তথায় এক রাজ্যের পর অপর রাজ্যের অভু্যদয়, এক সাম্রাজ্য নষ্ট হইয় অপব সাম্রাজ্যের অভু্যদয় হইয়াছে, মানবীয় ঐশ্বৰ্য্যবৈভব, গৌরব, শক্তি—সবই এখানে গড়াগড়ি যাইতেছে—যেন বিদ্যা, ঐশ্বৰ্য্যবৈভব, সাম্রাজ্য- সমুদয়ের সমাধিভূমি—ইহাই প্রাচ্যভূমির পরিচয় । সুতরাং প্রাচ্যদেশীয়গণ যে এই জগতের সমুদয় পদার্থকেই ঘৃণার চক্ষে দেখেন এবং স্বভাবতঃই এমন কিছু বস্তু দর্শন করিতে চান, যাক। অপরিণামী, অবিনাশী, এবং এই দুঃখ ও মৃত্যুপূর্ণ জগতের মধ্যে নিত্য, আনন্দময় ও অমর—ইহাতে বিস্ময়ের বিষয় কিছুই নাই। প্রাচ্যদেশীয় মহাপুরুষগণ এই আদর্শের বিষয় ঘোষণা করিতে কখন ক্লাস্তিবোধ কবেন না । আর জগতের সকল অবতার ও মহাপুরুষগণেব উদ্ভবস্থানসম্বন্ধেও আপনার স্মরণ বাথিবেন যে, ইহাদের সকলেই প্রাচ্যদেশীয়, কেহই অন্ত দেশের লোক নহেন। আমরা আমাদের আলোচ্য মঙ্গপুরুষের প্রথম মূলমন্ত্রই এই দেখিতে পাই যে, এ জীবন কিছুই নহে, ইহা হইতে উচ্চতৰ আরও কিছু আছে ; আব তিনি ঐ অতীন্দ্রিয়তত্ত্ব জীবনে পরিণত করিয়৷ তিনি যে যথার্থ প্রাচ্য দেশের সন্তান, তাহার পরিচয় দিয়াছেন । পাশ্চাত্য দেশের লোক আপনাদের নিজ কাৰ্য্যক্ষেত্রে অর্থাৎ সামরিক ব্যাপারে, রাষ্ট্রনৈতিকবিভাগের পরিচালনে ও তথাবিধ অন্তান্ত ব্যাপারে আপনাদের কৃতকৰ্ম্মতার পরিচয় দিয়াছেন। হয়ত প্রাচ্যদেশীয়গণ ওসকল বিষয়ে নিজেদের কৃতিত্ব দেখাইতে পারেন