পাতা:ঈশদূত-যীশুখ্রীষ্ট - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশদূত যীশুখ্ৰীষ্ট নাই, কিন্তু তাহার। নিজ নিজ কাৰ্য্যক্ষেত্রে সফল—তাহার। ধৰ্ম্মকে নিজেদের জীবনে উপলব্ধি করিয়াছেন—কার্য্যে পরিণত করিয়াছেন। তিনি যদি কোন দর্শন প্রচাব করেন, তবে দেখিবেন, কাল শত শত লোক আসিয়া প্রাণপণে নিজেদের জীবনে উহা উপলব্ধি করিবার চেষ্টা করিবে। যদি কোন ব্যক্তি প্রচার করেন যে, এক পায়ে লিড়াইয়৷ থাকিলে তাহাতেই মুক্তি হইবে, তিনি তখনই এমন পাচ শত অনুবী পাইবেন, যাহার এক পায়ে দাড়াইয়া থাকিতে প্রস্তুত হইবে। আপনার ইহাকে উপহাসাম্পদ কথা বলতে পারেন, কিন্তু জানিবেন, ইহার পশ্চাতে তাঙ্গদের জীবনের মূলমন্ত্র বিদ্যমান—তাহার। যে ধৰ্ম্মকে কেবল বিচারের বস্তু না ভাবিয়া উহাকে জীবনে উপলব্ধি করিবার-কার্য্যে পরিণত করিপার চেষ্টা করে, ইঙ্গাতে তাহর আভাস ও পরিচয় পাওয়া যায়। পাশ্চাত্য দেশে মুক্তিব যে সকল বিবিধ উপায় নির্দিষ্ট হইয় থাকে, তাহা বুদ্ধিবৃত্তির ব্যায়াম মাত্র, উহাদিগকে কোনকালে কার্য্যে পরিণত করিবার চেষ্ট। পৰ্য্যন্ত কব হয় না। পাশ্চাত্যদেশে যে প্রচাবক উৎকৃষ্ট বক্তৃত৷ করিতে পারেন, তিনিই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্মোপদেষ্টারূপে পরিগণিত হইয়। থাকেন । অতএব আমরা দেখিতেছি, প্রথমতঃ, এই নাজারেথবালী যীশু প্রকৃতপক্ষেই প্রাচ্যদেশীয়দের ভাবে সম্পূর্ণ ভাবিত ছিলেন। র্তাহার এই নশ্বর জগৎ ও ইহার নশ্বর ঐশ্বৰ্য্যে আদে আস্থা ছিল না। বৰ্ত্তমান যুগে পাশ্চাত্য জগতে যেরূপ শাস্ত্রীয় বাক্যের টানিয়া বুনিয়৷ ব্যাথ্যা করিবার চেষ্টা দেখা যায়, ( এত টানাটানি করা হয় যে, আর টানিয়া বাড়ান চলে না—-শাস্ত্র বাক্যগুলি ত আর রবার |9