পাতা:ঈশদূত-যীশুখ্রীষ্ট - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশদূত যীশুখ্ৰীষ্ট তিনি যে শুদ্ধ-বৃদ্ধ-মুক্ত-আত্মাস্বরূপ—এই তত্ত্ব উপলব্ধি ব্যতীত র্তাহার জীবনে আর কোন কাৰ্য্য ছিল না, আর কোন চিন্ত ছিল না । তিনি বাস্তবিকই বিদেহ শুদ্ধ-বুদ্ধ-মুক্ত-আত্মাস্বরূপ ছিলেন । শুধু তাগই নষ্ঠে, তিনি তাহার অদ্ভুত দিব্যদৃষ্টিসঙ্গয়ে ইহাও বুঝিয়াছিলেন যে, প্রত্যেক নবনাবী, সে য়াহুদী হউক বা অন্ত জাতিই হউক, ধনী দবিদ্র, সাধু অসাধু—সকলেই তাহারই হার সেই এক অবিনাশী আত্মাস্বরূপ বই আর কিছুই নহে । সুতরাং তাঙ্গর সমগ্র জীবনে এই একমাত্ৰ কাৰ্য্য দেখিতে পাওয়া যায় যে, তিনি সমগ্র মানবজাতিকে তাহাদের আপন আপন যথার্থ শুদ্ধ চৈতন্তস্বরূপ উপলব্ধি করিবার জন্ত আহবান করিতেছেন। তিনি বলিতেছেন, “তোমরা দীনহীন, এই কুসংস্করময় স্বপ্ন ছাড়িয়া দাও । মনে করিও না যে, অপরে তোমাদিগকে দাসবৎ পদদলিত এবং উৎপীড়িত কবিতেছে, কারণ তোমাদের মধ্যে এমন এক বস্থ রহিয়াছে যাহাব উপর কোন অত্যাচাব কব চলে না, যাঙ্গকে পদদলিত করা যায় না, যাঙ্গকে কোন মতে বিনাশ করিতে বা কোনরূপ কষ্ট দিতে পাব যায় ন৷ ” আপনাব৷ সকলেই ঈশ্বরতনয়, সকলেই অমর আত্মস্বরূপ । তিনি এই মহাবাণী জগতে ঘোষণা করিয়াছেন —“জানিও, স্বৰ্গরাজ্য তোমাব অভ্যস্তরেই অবস্থিত।”– “আমি ও অমাব পিত। অভেদ।” নাজারেথবাসী যীশু এই সব কথাই বলিয়াছেন। তিনি এই সংসারের কথা বা এই দেহের বিষয় কখনও বলেন নাই। জগতের সঙ্গে তাহাব কোন সম্বন্ধই ছিল ন।—এইটুকু মাত্র সম্পর্ক ছিল যে, উহাকে ধরিয়া তিনি সম্মুখে খানিকট অগ্রসর করিয়া দিবেন—আর ক্রমাগত উহাকে অগ্রসর ১৩