পাতা:ঈশদূত-যীশুখ্রীষ্ট - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশদূত যীশুখ্ৰীষ্ট তাদাত্ম্যভাব প্রাপ্ত হন এবং আমরাও তাঁহাদেব সহিত এক হইয়। যাই ।” কারণ, আপনাবা এটি লক্ষ্য করিবেন যে, মানব ত্রিবিধভাবে ঈশ্ববোপলব্ধি করিয়া থাকে। প্রথমাবস্থায় অশিক্ষিত মানবের অপৰিণত বুদ্ধিতে বোধ হয় যে, ঈশ্বব বহুদূবে-উদ্ধে স্বৰ্গনামক স্থানবিশেষে সিংহাসনে পাপপুণ্যেৰ মহাবিচাবকরূপে সমাসীন বহিয়াছেন। লোকে তাহাকে “মহন্তয়ং বজ্ৰমুস্ততং” স্বরূপে দর্শন কবে । ঈশ্বর সম্বন্ধীয় এবংবিধ ধারণাও ভাল, ইহাতে মন্দ কিছুই নাই । আপনাদেব বিশেষভাবে স্মবণ বাথা উচিত যে, মানব মিথ্য হইতে, ভ্রম হইতে সত্যে অগ্রসব হয়, তাহী নহে, এক সত্য হইতে ত্রমে অপর সত্যে আরোহণ করিয়া থাকে । যদি আপনাব পছনা কবেন ত বলিতে পাবেন, নিম্নতব সত্য হইতে উচ্চস্তব সত্যে আরোহণ কবিয়া থাকে, কিন্তু ভ্রম হইতে, মিথ হহঁতে সত্যে গমন করে, একথা কখনই বলিতে পারেন না । মনে করুন, আপনি এখান হইতে সুৰ্য্যাভিমুখে সরলরেখায় অগ্রসর হইতে লাগিলেন। এখান হইতে সুর্য্যকে অতি ক্ষুদ্রাকার দেথায় । মনে করুন, আপনি এখান হইতে দশ লক্ষ মাইল অগ্রসব হইলেন– সেখানে গিয়া স্বৰ্য্যকে এখানকার অপেক্ষ। বৃহত্তর আকারে দেখিবেন । যতই অগ্রসর হইলেন, ততই উহাকে বৃহত্তবরূপে দেখিতে থাকিবেন। মনে করুন, এইরূপ বিভিন্ন স্থান হষ্টতে স্তধ্যেব বিশ সহস্ৰ আলোকচিত্র গ্রহণ করা গেলইহাদের প্রত্যেকটিই যে অপরটি হইতে পৃথক হইলে, তাহাতে কোন সন্দেহ নাই ; কিন্তু উহাদের সকলগুলি যে সেই এক Y2