পাতা:ঈশদূত-যীশুখ্রীষ্ট - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশদূত যীশুখ্ৰীষ্ট জীবনের উচ্চতর লক্ষ্য সব ভুলিয়া গিয়াছি। কিন্তু উহার মধ্যেই হঠাৎ এক মুহূৰ্ত্তের বিরাম আসিল—সেই মহাবাণী আমাদের কর্ণে ধ্বনিত হইতে লাগিল,—“তোমার যাহা কিছু আছে, সব ত্যাগ করিয়৷ আমার অনুসরণ কর।” “যে কোন ব্যক্তি নিজের জীবনরক্ষার দিকে দৃষ্টি রাখিবে, সে উহ। তারাইবে, আর যে আমার জন্ত নিজের জীবন হারাইবে, সে উহ! পাইবে।” কারণ, যে কোন ব্যক্তি র্তাহাব জন্য এই জীবন বিসর্জন করিবে, সে অমৃতত্ব লাভ করিবে । আমাদের সৰ্ব্ববিধ দুর্বলতার মধ্যে-sসৰ্ব্ববিধ কাৰ্য্যকলাপের মধ্যে ক্ষণকালের জন্য কখনও কখনও যেন একটু বিরাম আসিয়া উপস্থিত হয়, আব সেই মহাবাণী আমাদের কর্ণে ঘোষিত হইতে থাকে,—“তোমাব নাহ৷ কিছু আছে সব ত্যাগ করিয়া দরিদ্রদিগকে উহা দান কব এবং আমার অনুসরণ কর।” তিনি ঐ এক আদর্শ প্রচার করিতেছেন— জগতের সকল শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্মাচাৰ্য্যগণও ঐ এক আদর্শ প্রচাব করিয়াছেন। তাহা এই - ত্যাগ। এই ত্যাগেব তাৎপৰ্য্য কি ? ত্যাগেব মৰ্ম্ম এই—নীতি-বিজ্ঞানে নিঃস্বার্থপরতাই একমাত্র আদর্শ। অহংশূন্ত হও । পূর্ণ নিঃস্বার্থপরত বা অহংশুষ্ঠতাই আমাদের একমাত্র আদর্শ। এই সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থপরতার দৃষ্টান্ত এই যে, ডান গালে চড় মারিলে বঁ। গাল ফিরাইয়া দিতে হইবে—যদি কেহ তোমাব জামা কাড়িয়া লয়, তাহাকে তোমার চাপকানটিও খুলিয়া দিতে হইবে । * আদর্শকে খাট না করিয়া যতদূর পারা যায়, উত্তমরূপে কাৰ্য্য করিয়া যাইতে হইবে । আর সেই আদর্শ অবস্থা এই—ষে অবস্থায় মানুষের অহংভাব কিছুমাত্র থাকে না, তাহার যখন কোন বস্তুতে ર 8