পাতা:ঈশদূত-যীশুখ্রীষ্ট - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশদূত ঘীশুখ্ৰীষ্ট জন্য আমাকে প্রশংসা কর না কর, তাহাতে আমার কিছু আসিয়। যায় না । আমি ত দোকানদার নহি—আমি ধৰ্ম্ম লইয়া ব্যবসা করিতেছি না। আমি কেবল সত্য শিক্ষা দিয়া থাকি, আর সত্য কোন ব্যক্তিবিশেষের সম্পত্তি নহে । সত্যকে একচেটিয়া করিবার কাহারও অধিকার নাই। সত্য স্বয়ং ঈশ্বরস্বরূপ। তুমি নিজ পথে অগ্রসর হইয়া চল ।” কিন্তু শিষ্যের এক্ষণে কি বলেন ?--তাঙ্গর বলেন—“তোমরা তাহার উপদেশের অনুসরণ কর না কর উপদেষ্টাকে যথাযথ সম্মান দিতেছ কি না ? যদি উপদেষ্টার–আচার্য্যের সম্মান কর, তবেই তুমি উদ্ধার হইবে ; নতুবা তোমার মুক্তি নাই।” এইরূপে এই আচাৰ্য্যবরের সমুদয় উপদেশই বিগুড়াইয়া গিয়াছে। এখন দাড়াইয়াছে—-কেবল উপদেষ্ট মানুষটাকে লইয়৷ বিবাদ । তাহারা জানে না যে, এইরূপে উপদেশের অনুসরণ ছাড়িয়া দিয়া, উপদেষ্টার নাম লইয়া টানাটানি করাতে তাহারা যে ব্যক্তিকে সম্মান করিতে চাহিতেছে, একভাবে তাহাকেই অপমান করিতেছে —ঐরূপে তাহার উপদেশ ভুলিয়। র্তাহাকে সম্মান করিতে গেলে তিনি নিজেই লজ্জায় মহা সঙ্কুচিত হইতেন। জগতের কোন ব্যক্তি তাহাকে মনে রাখিল না রাখিল, ইহাতে তাঙ্গর কি আসিয়া যায় ? তাহার জগতের নিকট একটি বাৰ্ত্ত—একটি সুসমাচার বহন করিবার ছিল—তিনি তাহ বহন করিয়াই নিশ্চিন্ত । বিশ সহস্ৰ জীবন পাইলেও তিনি তাহ জগতের দরিদ্রতম ব্যক্তির জন্ত প্রদানে প্রস্তুত ছিলেন। যদি লক্ষ লক্ষ ঘৃণিত সামারিয়াবাসীর জন্য লক্ষ লক্ষ বীর তাহাকে যন্ত্রণ সহ করিতে হইত, এবং তাহাদের প্রত্যেকের জন্য তাহার নিজ জীবনবলিই যদি তাহদের মুক্তির ミぐ2