পাতা:ঈশদূত-যীশুখ্রীষ্ট - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশদূত বীশুখ্ৰীষ্ট ধারণা করিতে কখনই সমর্থ হইবেন না । তাই যদি হয়, তবে জিজ্ঞাসা করি, এই সকল পুরুষকে ঈশ্বর বলিয়া উপাসন করা কি অন্তায় কার্ধ্য ? এই নরদেবগণের চবণে লুষ্ঠিত হইয় তাহাদিগকে জগতের মধ্যে ঈশ্বরের একমাত্র সাকারবিগ্রহশ্বরূপে উপাসন করা কি পাপ ? যদি তাহার প্রকৃতপক্ষে আমাদের সর্ববিধ ঈশ্বরসম্বন্ধীয় ধারণ বা কল্পনা হইতে উচ্চতব হন, তবে তাহাদিগকে উপাসনা করিতে দোষ কি ? ইহাতে যে শুধু দোষ নাই, তাহী নহে, সাক্ষাৎ ঈশ্বরের উপাসন কেবল এই ভাবেই সম্ভবপর হইতে পারে। আপনার যতই চেষ্টা করুন না—পুনঃ পুনঃ অভ্যাসের দ্বারাই চেষ্ট করুন বা স্কুল হইতে ক্রমশঃ স্তন্মাৎ সূক্ষ্মতর বিষয়ে মন দিয়াই চেষ্ট করুন, যতদিন আপনার মানবজগতের মধ্যে নরদেহে অবস্থিত, ততদিন আপনাদের উপলব্ধ সমগ্র জগৎই নরভাবাপন্ন, আপনাদের ধৰ্ম্মও মানবভাবে ভাবিত, আপনাদের ঈশ্বরও নরভাবাপন্ন। এরূপ না হইয়াই যাইতে পারে না। কে এমন বাতুল আছে যে, প্রত্যক্ষ সাক্ষাৎ উপলব্ধ বস্তুকে গ্রহণ করিয়া এমন বস্তুকে ত্যাগ ন৷ করবে, যাহা কেবল কল্পনাগ্রাহ ভাববিশেষ মাত্র, যাহাকে সে ধরিতে ছুইতে পারে না, এবং স্থল অবলম্বনের সহায়ত ব্যতীত যাহার নিকট অগ্রসর হওয়াই দুরূহ ? সেই কারণে এই সকল ঈশ্বরাবতার সকল যুগে, সকল দেশেই পূজিত হইয়াছেন। আমরা এক্ষণে য়াহুদীদিগের অবতার স্ত্রীষ্টের জীবনচরিতের একটু আধটু আলোচনা করিব। আমি পূৰ্ব্বে, একটি তরঙ্গের উত্থানের পর ও দ্বিতীয় তরঙ্গ উত্থানের পূৰ্ব্বে তরঙ্গের যে পতনাবস্থার 《