পাতা:ঈশাচরিতামৃত.djvu/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জেৰুশীলমে প্রকাশ্য উপদেশ । এক দিন কোন এক জন্মান্ধ মনুষ্য আরোগ্যলাভের ইচ্ছায় যিশুর নিকট উপস্থিত হইলে শিষ্যের জিজ্ঞাসা করিল, “এ ব্যক্তির অন্ধ হইবার কারণ কি ? পিতা মাতার দোষে, না ইহার নিজদোষে ইহা ঘটিয়াছে ?” যিশু বলিলেন, “কাহারো দোষে নহে, ইহাতে ঐশ্বরিক ক্রিয়া যেন প্রত্যক্ষ্মীভূত হয়, এই জন্য উহার উৎপত্তি। যাহার দেখে না তাহারা যেন দেখিতে পায়, এবং যাহার দেখে তাহারা যেন অন্ধ হয়, এই বিচারার্থ আমি জগতে অবতীর্ণ হইয়াছি। “ ফিরুশীর বলিল, “ভবে আমরাও কি অন্ধ ? " যিশু বলিলেন, “যদি অন্ধ হইতে তবে তোমাদের পাপ হইত না, কিন্তু দেখিতে পাইভেছি এইরূপ মনে করাতেই পাপ হইয়াছে। ” জনস্তর হৃদয়দ্বার উন্মুক্ত করিয়া বলিতে লাগিলেন, “সত্য সত্য আমি তোমাদিগকে কহিতেছি, যে সম্মুখ দ্বার দিয়া প্রবেশ না করিয়া অন্য কোন দিক দিয়া মেষশালার মধ্যে যায় সে চোর ; কিন্তু যে দ্বার দিয়া প্রবেশ করে সে রক্ষক। দ্বারবান ভাহাকে দ্বার খুলিয়া দেয়, এবং সে মেষগণের স্ব স্ব নাম ধরিয়৷ ডাকিবামাত্র তাহার। তাহার কণ্ঠরব বুঝিতে পারিয়া বাহিরে আইসে ও রক্ষকের পশ্চাতে গমন করে। কিন্তু অন্য কেহ ডাকিলে তাহার পশ্চাতে তাহারা যায় না, বরং দূরে পলায়ন করে ; কারণ তাহার রব অপরিচিত। " এ দৃষ্টাস্তুের অর্থ কেহ বুঝিতে না পারায় প্রকাশ করিয়া বলি লেন, “আমিই মেযশালার দ্বার, অামাকে অতিক্রম করিয়া যাহারা অগ্ৰে আসিয়াছে ভাস্থার চোর ; কিন্তু মেষগণ তাহদের কথা শুনে নাই। আমার মধ্য দিয়া যে কেহ প্রবেশ করে সে রক্ষা পাইবে, এবং ভিতর বাহির যাতায়াত করিতে পারিবে এবং তাহাদিগকে আমি ভোজ্য বস্তু দান করিব। চোর কেবল চুরি এবং বধ করিবার নিমিত্ত আসে, কিন্তু আমি জীবন দিতে আসিয়াছি । আমি উত্তম রাখাল । যে উত্তম রাখাল হয়