পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষে আমরা যেতে পারব। এই ত, আজ গঙ্গাস্নান থেকে ফিরবার সময় রমেশ ত আর পথ দেখায় নাই ; সে সঙ্গে মাত্ৰ ছিল ; আমরাই ত ঠিক পথ চিনে এসেছি ; কি বল মা !” লক্ষ্মী বলিল, “সহরের পথে-ঘাটে চলা ত আমাদের অভ্যাস নেই, তাই কেমন বাধ্য-বাধ ঠেকে ; লোকজন দেখলে কেমন সঙ্কোচ বোধ হয়, না বাবা ” বড় কৰ্ত্তা বলিলেন, “এখানে দুইচার দিন চললে-ফিরলেই সঙ্কোচ দূর হবে । দেখি, আরতি দর্শন করে এসে তার পর পাকের যোগাড় করা যাবে ।” বড় গিনী বলিলেন, “সব গুছিয়ে রেখে যাব । এসেই রান্না চড়িয়ে দেব । আজ আর কোন হাঙ্গামা করা হবে না ; দুটো ভাতে-ভাত করলেই হবে ।” রমেশ বাহিরের দ্বার ঠেলি:সু। ভিতরে প্রবেশ করিল ; তাহার সঙ্গে একটা কুলার মাথায় কতক ীি निाgछझैं दष्टि द्रा ठान्मिन्नाgछ । বড় গিন্না বলিলেন, “বাবা, তুমি কষ্ট করে এত জিনিস বয়ে আনলে কেন ? আর একটা লোক নিলেই ত তোতো । আহাঁ, তোমার বড় কষ্ট হয়েছে ।” রমেশ বড় গিন্নীর দিকে চাহিদুল্লা বলিল, “মা ঠাকরুণ, আমাদের কি আর এতে কষ্ট হয় । কষ্ট ভয় কিসে জানেন ; যখন প্ৰাণ দিয়ে খেটে ও মনিবের মান পাইনে, গালাগালি শুনি, তখনই কষ্ট হয়। আমাদের মুখ চেয়ে “আহাঁ” বলবার লোক নেই বলেই 2. O O