পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলছেন, আপনি একটু জল না খেলে তিনি বড়ই দুঃখিত হবেন ।” “তা হলে আর উপায় নেই মা! আচ্ছ। আমি বসছি। তোমার * বাবাকে আগে দেও ; তার পরে আমি প্ৰসাদ পাব।” তখন দুইজনে বসিয়া নানা গল্প করিতে লাগিলেন। একটু পরেই লক্ষ্মী বাহিরে আসিয়া বলিল, “বাবা, জলখাবার দেওয়া হয়েছে ; কিন্তু বসবার যে আসন নেই ; সবে একখানি কুশাসন তোমার আহিকের জন্য বাড়ী থেকে আনা হয়েছিল ।” সত্যবাবু বলিলেন, “আমার আসনের দরকার নেই। আমি বাসা থেকে খান-দুই আসন পাঠিয়ে দেব। আর কি কি দরকার আমাকে বলে দেও ত মা !” লক্ষ্মী বলিল, “আর কিছুরই ত এখন দরকার দেখছিনে।” তখন দুইজনেই সামান্য কিছু জলযোগ করিলেন । তাহার পর বড় কৰ্ত্তা বলিলেন, “সত্যবাবু, আমরা ত পথ-ঘাট চিনিনে । রমেশকে যদি সন্ধ্যাবেল একটু ছেড়ে দেন, তা হ’লে আমাদের বিশ্বনাথের আরতি দেখিয়ে আনে। দুই-একদিন সঙ্গে নিয়ে গেলেই আমরা পথ-ঘাট চিনে নিতে পারব ।” সত্যবাবু বলিলেন “আমি বাসায় গিয়েই রমেশকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তাকে আরও বলে দেব যে, বাসায় খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে সে যেন এখানে এসে রাত্ৰিতে শুয়ে থাকে। নূতন স্থানে এসেছেন ; কখন কি দরকার হয়, তা ত বলা যায় না । একটা ঠিকে । ঝি কালই পাঠিয়ে দেব।” এই বলিয়া সত্যবাবু চলিয়া গেলেন। o G