পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ \Ο নূতন করিয়া সমস্ত গোছাইয়া রান্না আহার শেষ করিতে রাত্রি প্ৰায় এগারটা বাজিয়া গেল। রমেশ দশটার সময় আসিয়া দেখে, তখনও বড় কৰ্ত্ত আহারে বসেন নাই । রমেশ রান্না-ঘরের নিকট যাইয়া বলিল, “মা ঠাকরুণ, এখনও রান্না হোলো না, রাত যে দশটা বেজে গেল। তোমাদের কি, তোমরা ত চিরদিন উপোস করেও কাটাতে পার ; দিদি লক্ষ্মী যে ক্ষিদেয় মারা পড়বার যো হোল।” লক্ষ্মী বলিল, “আমার আজ আর না খেলেও চলে।” “তবে আর কি, মােঠাকরুণ, উনন নিবিয়ে দিন। দশটা বাজল দেখে, “আমার মনে হোলো মা, তোমরা বুঝি আমার জন্য বসে আছ । তাই তাড়াতাড়ি কাজকৰ্ম্ম সেরে, অমনি নাকে-মুখে চারটে দিয়ে দৌড়ে এলাম। এখন দেখি কি না, তোমাদের द्रांद्राशे न्८भ न्शे ।” বড় গিন্নী বলিলেন, “মনে করেছিলাম, আজ আর কিছু করব না, আলু ভাতে দিয়ে চারটা ভাত নামিয়ে নেব ; কিন্তু শেষে ভাবলাম, কৰ্ত্তার সুমুখে কেমন করে আলু-ভাতে ভাত ধরে দেব। তা ত কোন দিন পারি নেই বাছা । তাই ডাল রাধতে হোলো, o