পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিয়ে একটা ভাল কাজে লাগাব। বড় বাবু বললেন “টাকা যে অনেক হয়েছে, সুধু আসল তা নয়, সুন্দও জামছে।” শুনলে দিদি লক্ষ্মী, ওরা কেমন খাটি লোক-সুন্দ পৰ্য্যন্ত হিসেব করে জমিয়ে রাখছে। সেই দিন জিজ্ঞাসা করেছিলাম “আচ্ছা বড় বাবু, আপনারা যে টাক-টাকা করেন, আমার এমন কি নয়-শ পঞ্চাশ টাকা জমেছে।” বড় বাবু বলিলেন, “নয়-শ পঞ্চাশাসে বহুত জিয়াদা, দো হাজারসে উপরি হোগা !” আমি মনে করলাম বড় বাবু তামাসা করছেন। তিনি আমার মনের কথা বুঝে বললেন, “মসকরা নেহি রমেশ, দো হাজারসে যাস্তি হোগা।” হোগা ত হোগা । তার পর আর খোঁজ নিইনি। बूदgल দিদি লক্ষ্মী, আমার এত টাকা কি করে হোলো, তাই এক-এক দিন ভাবি। চুরী ত করি নেই কোন দিন, কাউকে ঠকিয়ে এক পয়সা ও কখন নিইনি।” লক্ষ্মী বলিল, “এতদিন থেকে কাজ করছি। রমেশ দা, তা সুদে-আসলে দু-হাজার টাকার উপর হবে, তার আর আশ্চৰ্যা কি !! আচ্ছা তোমার ত কেউ নেই, তুমি এ টাকা কি করবে ?” রমেশ বলিল, “এই একটা কিছুতে দিয়ে যাব মনে করেছি।” লক্ষ্মী বলিল, “রমেশ দা, আমি বলি কি, তুমি একটা বিয়ে কর । চিরকালটা ত এই একভাবে কাটালে ; এখন ঘর সংসার কর । শেষকালে দেখবার-শুনবার লোক হবে ।” রমেশ হাসিয়া বলিল, “বয়স হয়েছে কত, জান দিদি লক্ষ্মী ! SSG