পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরওৱক্ষা পাইতেছিল না। দ্বিপ্রহরের সময়ই বড় গিল্পীর অবস্থা খারাপ হইল। বড় কর্তা বলিলেন “রমেশ, আর ডাক্তার ডাকিয়া কোন লাভ নাই। তুমি এক কাজ কর, হরেকৃষ্ণকে একটা টেলিগ্ৰাফ করে দেও ; কিন্তু তাকে আসতে নিষেধ করিও ।” বড় গিনী ক্ষীণস্বরে বলিলেন, “ঠাকুরপোকে একবার দেখতে ইচ্ছা করছে বটে, কিন্তু কাজ নেই ; তাকে খবর দিও না । সে খবর পেলেই ছুটে আসবে। এখন এসে কাজ নেই। তাকে দেখতে পেলাম না, তার হাতে অভাগীকে দিয়ে যেতে পার ढiभ न ।।” রমেশ বলিল, “মাঠাকরুণ, ভয় পাবেন না । আপনি সেরে উঠবেন ।” বড় গিন্নী বলিলেন “রমেশ, সে আশা আর নেই বাপ ! তোমাকে কিছুই বলে যেতে পারলাম না-সময় পেলাম না । এত শীগগিরই যে যেতে হবে, তা জানতাম না। লক্ষ্মী আমার বড় অভাগিনী। আমার কাছে প্ৰতিজ্ঞা করি বাপ, তাকে তুমি ছাড়বে না-সুখ-দুঃখে তাকে দেখাবে। বড় ভাইয়ের মত তাকে পালন করবে। এই কথাটা আমাকে বল-আমি সুখে মরতে পারব। আর শোন লক্ষ্মী, শোন রমেশ, আমি দিব্য চক্ষে দেখতে পারছি, একটু সময়ের আগে-পাছের জন্য আমি সিথিতে সিন্দুর নিয়ে মরতে পারলাম। কৰ্ত্তাও আর নেই ; তিনিও আমার সঙ্গে-সঙ্গেই আসছেন। ঐ দেখ, আমি দেখতে পাচ্ছি।” এই বলিয়া তিনি চক্ষু মুদ্রিত করিলেন। e RR