পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“মা, তোকে কার হাতে দিয়ে যাব। তুই যে বড় অভাগিনী।” বড় কৰ্ত্তার চক্ষু দিয়া জল পড়িতে লাগিল । লক্ষ্মী বলিল, “বাবা, কাতর হবেন না। ঠাকুর-দেবতার নাম করুন ।” বড় কৰ্ত্তা ‘হু” বলিয়া নীরব হইলেন ; কিন্তু তঁহার দৃষ্টি পাশ্বের বিছানার দিকে ;-সে যে কি দৃষ্টি, তাহার বর্ণনা করা যায় না। বড় কৰ্ত্তা এক দৃষ্টিতে র্তাহার জীবন-সঙ্গিনীর দিকে চাহিয়া রহিলেন, আর একটা কথাও বলিলেন না । বড় গিন্নী সুধু বলেন, “লক্ষ্মী, মা আমার, তোকে যে ভাসিয়ে দিয়ে গেলাম ৷৷ ও রমেশ, বাবা, দেখা কৰ্ত্তা কেমন করছেন । ওঁর মুখে একটু গঙ্গাজল দে মা ! হে ঠাকুর, আর কোন প্রার্থনা নেই, আমাকে আগে নিয়ে যাও-আমাকে আগে । আর ঐ হতভাগিনী -II C히 !” লক্ষ্মীর চক্ষে জল নাই ; একবার সে পিতার পাশ্বে যাইয়া বসে, আবার যখন মাতা কেমন করিয়া উঠেন, তখন মায়ের কাছে যায়। বেলাও যাইতে লাগিল ; দুই জনের অবস্থাই ক্ৰমে খারাপ হইতে লাগিল । রমেশ দেখিল, রাত্ৰিও কাটিবে না,-হয় ত সন্ধ্যার মধ্যেই সব শেষ হইয়া যাইবে । সে তখন দুই জনেরই জীবনের আশা ত্যাগ করিল ; তাহার ভাবনা, এদের সদগতির কি হইবে । রাত্ৰিতে সে একেল কি করিবে ? এখন তইতেই সে ব্যবস্থা না করিলে ত হয় না । রমেশ বাড়ীর বাহিরে যাইয়া দেখে, তাহার পরিচিত এক বুদ্ধ > R