পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোমার অসুখ হবে। দেখছি ত কাশীতে কি আরম্ভ হয়েছে ; ঘরে-ঘরে সুধু কান্না।” “আমার কান্না ও তাই শোন দাদা ! আমি বড় দুঃখিনী !” লক্ষ্মী তখন তাহার জীবন-কাহিনী আরম্ভ করিল। যখন সে পাষণ্ডদের কর্তৃক তাহার অপহরণের কথা বলিতে লাগিল, তখন রমেশ একেবারে আত্মহারা হইয়া গেল ; বলিল, “থাম দিদি, থাম ; আর আমি শুনতে চাইনে। কি ভয়ানক কথা।” লক্ষ্মী বলিল, “রমেশ দা, আত অধীর হোয়ো না ; এখনই কি হয়েছে। এ ত সামান্য কথা । এর চাইতেও ভয়ানক কথা আছে।” এই বলিয়া সে পরবত্তী ঘটনা সমস্ত বলিয়া যাইতে লাগিল ; একটী কথা ও গোপন করিল না । যখন সে তাহার গর্ভের সন্তান নষ্ট করিবার আয়োজনের কথা বলিল, রমেশ তখন শিহরিয়া উঠিল ; লক্ষ্মীর হাত দুইখানি জড়াইয়া ধরিয়া বলিল, “দিদি লক্ষ্মী, আর না-আর আমি শুনতে পারব না-আর তোমায় বলতে হবে না। আমিই তার পরের কথা বলছি শোন । তোমার সেই দয়াল কাকার পরামর্শ নিয়ে তোমার বাবা তোমাকে এখানে এনেছিলেন। তার পর কোন রকমে তোমার সন্তানটাকে নষ্ট—” “না, না, রমেশ দা, তা তাদের আর অভিপ্ৰায় ছিল না ; সে ইচ্ছা বাবা ত্যাগ করেছিলেন । আমার যা হয় দেখে, তার পর যে ব্যবস্থা হয়, তাই তঁাবা করতেন। মা আমাকে কিছুতেই (८छ्८ 6८ञ् श्रझ८ङञ व्ञ !” 8 o