পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“হয় ত এই করতেন, তোমাকে আর তোমার মাকে এখানে রেখে তিনি দেশে চলে যেতেন ।” “না, না, তাও বাবা করতে পারতেন না-তিনি আমাকে বড়ই ভাল বাসতেন। রমেশ দা !” “এই বুঝি তার ভালবাসার প্রমাণ দিদি ” “না। রমেশ দা, অমন করে বাবার বিচার কোরো না । জান। না, আমাদের সমাজ কি ;-জান না তুমি, আমার বাবার দেশে কত বড় নাম ;-জান না। তুমি, তিনি কি বিপন্ন হয়ে পড়েছিলেন। বাপ-পিতামহের নাম, তাদের সন্মান, পরিবারের জীবনোপায়এ সব কি মানুষে সহজে বিসর্জন দিতে পারে ? সংসারের থেকে কেউ পারে না। রমেশ দা ।” রমেশ একটু চুপ করিয়া থাকিয়া বলিল, “বেশ, তার পর।” “তার পর আমার আর কিছুই বলবার নেই। আমি সমাজ থেকে বেরিয়ে এসেছি । আমি আর কি বলব । না যে তোমারই উপর সমস্ত ভার দিয়ে গিয়েছেন।” “মা-ঠাকরুণ সতীলক্ষ্মী, তাই তিনি আমার উপর-এই সমাজ-ছাড়া মানুষের উপর ভার দিয়ে গেছেন ;- তাই তিনি আমাকে প্ৰতিজ্ঞা করিয়ে নিয়েছেন । যাক, তোমার কথা ত হয়েছে। এখন আমার কথা শোন । তোমার কোন ভয় নেই ;- আমি যদি বেঁচে থাকি, তা হলে তোমার একগাছি চুলও কেউ স্পশ করতে পারবে না । রমেশ জানা তোমাদের সমাজ মানে না,-সমাজের ভয় ও করে না । তুমি ও তা কর না । তা করলে 8 Y.