পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একলা নৌকোয় রেখে এলি এই নিশি-রাত্তিরে। যা যা, তাকে ডেকে নিয়ে আয়! তোর নৌকোর জিনিসপত্র চুরী করবার জন্যে আর এমন সময় কেউ আসবে না। যা, শীগগির যা ! তাকে ডেকে নিয়ে আয় গে৷ ” “শীতল বলিল, “দেখ দেখি হাংনমা ! রাত দুপুর হয়ে গেল ! এখন রাধ রে, খাও রে । রাত যে কাবার হয়ে যাবে! তাই ত ছোট কৰ্ত্তারে বলিছিলাম রাত্তিরে আর বাড়ীতে উঠে কাজ নেই। নৌকোতেই শুয়ে থাক। তা ত উনি শুনলেন না। এখন থাক বসে আর দুই ঘড়ি ।” লক্ষ্মী বলিল,“শীতল-দা, অতি দেরী হবে না, দুটো মাছের ঝোল ভাত, এই দেখতে দেখতে নেবে যাবে। তুমি যাও, নগেনকে নিয়ে এসে গো! আর জিনিসপত্র যা নৌকোয় আছে, দুই জনে নিয়ে এসো।” এই বলিয়া লক্ষ্মী তাহার খুড়ীমার সাহায্যের জন্য রান্নাঘরের দিকে চলিয়া গেল । বারান্দায় একখানি মাদুর পাতা ছিল; বড় কৰ্ত্তা বসিয়া বলিলেন, “শীতল, বাবা, এক ছিলুম তামাক সাজ ত । ঐ-ঐখানে সব আছে ।” হরেকৃষ্ণ মাদুরের পাশেই শানের উপর বসিয়া বলিল, “দেখ বড় বীে, গোলাম ত নবীনগরের চাটুয্যেদের উদ্দেশে। আরে রাম, ছেলে নয়। ত একেবারে আবগারীর দোকান। আর চেহারা, । বুঝলে বড় বেী, একেবারে সংক্রান্তি ঠাকুর । বাবা, অত গাজা-ভাং কি মানুষের সয় ।”