পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মচারিণী হাসিয়া বলিলেন, “বিপদ ! তোমার বিপদ ! তুমি যে মুক্ত পুরুষ।” বৃদ্ধ সন্ন্যাসী সহাস্যমুখে বলিলেন, “মুক্ত পুরুষকেও মাঝেমাঝে বন্ধনে পড়তে হয় মা ! তুমিও মুক্ত, কিন্তু তোমার জন্যও বন্ধন তৈরী হয়েছে ; এখনই জানতে পারবে ।” ব্ৰহ্মচারিণী রমেশকে বলিলেন, “কি বিপদ তোমার রমেশ । ইনি আমার গুরুদেব ।” রমেশ বলিল, “তা আমি জানি । সে ভালই হোল, গুরু শিষ্যা দুই জনের কাছেই এক সঙ্গে কথাটা জানান হবে।” এই বলিয়ু রমেশ সেই চাতালের সিড়িতে বসিয়া লক্ষ্মীর কথা আদ্যোপান্ত বলিল । সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারিণী তন্ময় ভাবে এই কাহিনী শুনিয়া যাইতে লাগিলেন ; কথার মধ্যে বাধা দিয়া কোন কথাই বলিলেন না । রমেশের কথা শেষ হইলে সন্ন্যাসী ব্ৰহ্মচারিণীকে বলিলেন, “মা, সেবাধন্মের কথা, আর তার সুযোগের কথা এইমাত্র তোমাকে বলছিলাম। এই দেখ সুযোগ উপস্থিত। এই সেবায় তোমাকে দীক্ষিত করবার জন্যই আমি আজ এসেছি।” ব্ৰহ্মচারিণী বলিলেন, “আমাকে এখন কি করতে হবে, অজ্ঞা করুন ।” সন্ন্যাসী বলিলেন, “এই মেয়েটার ভার তোমাকে নিতে হবে। যাতে তার মঙ্গল হয়, তার ভার তোমার উপর রইল। আর তুমি যাকে মুক্ত পুরুষ বলছি, সে তোমার সহকারী হবে। סטאפו