পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«ܘܶ ܠ দ্বাদশ বৎসর অতীত হইয়া গিয়াছে ৷ কাণীর কেশী; ঘাটের উপর একখানি নাতিবৃহৎ ভবনের একটা সুসজ্জিত প্ৰকোছে অজিনাসনে বৃদ্ধ সন্ন্যাসী উপবিষ্ট ; পাশ্বে ধরাসনে দুইটা ব্ৰহ্মচারিণী ;—দুইটাই মাতৃমূৰ্ত্তি ; দুইজনকেই দেখিলে জগদ্ধাত্রী दक्रिाब्रा अ6न् श्च्न । সন্ন্যাসী বয়োধিক ব্ৰহ্মচারিণীকে বলিলেন, “মা সরস্বতী, তোমার দ্বাদশ-বৎসর ব্যাপী সেবার ফল হইয়াছে।” ব্ৰহ্মচারিণী বলিলেন, “ফলের প্রত্যাশা ত করি নাই প্ৰভু ! আপনি কাৰ্য্যে নিযুক্ত করিয়াছিলেন, প্ৰাণপণে একাগ্ৰচিত্তে কাজ করিয়াছি।” সন্ন্যাসী বললেন, “সেই কাজের ফলেই আজ সমস্ত কাশ্য --আর কাশ্যই বা বলি কেন—সমস্ত ভারতে লক্ষ্মীর নাম কীৰ্ত্তিত হইতেছে । মা লক্ষ্মী, আমি এই দ্বাদশ বৎসর তোমার জীবনগঠনে সহায়তা করিয়াছি মা ! বল, আজ তুমি কি চাও ?” লক্ষ্মী বলিলেন, “কোন দিন কিছু চাই নাই ; চাহিবার ত কোন অবকাশ দেন নাই প্ৰভু ! তবে আজ একটা প্রার্থনা আছে ;-—আমাকে অব্যাহতি দিন-আমাকে অন্তহিত হইতে দিন । চারিদিকের এ কোলাহল হইতে আমাকে দূরে অপসৃত করুন।” እ ዓ S