পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজই ভবিষ্যতে—অদূর ভবিষ্যতে পুণ্যভূমি ভারতে ব্ৰহ্মণ্যপ্ৰতিষ্ঠা লাভ করবে। তার সুচনা হয়েছে,-তার বিজয়-দুন্দুভি বেজে উঠেছে ; প্ৰাচ্য-প্রতীচ্যে তার সাড়া পড়ে গিয়েছে। আমার ক্ষুদ্র শক্তি আমি সেই সমাজ-গঠনে নিযুক্ত করেছি,-তোমাদের মাতৃশিক্তি সেই সমাজের ভিত্তি প্রোথিত করছে। সেই সমাজের কথা বল। হিন্দু সমাজে নূতন প্ৰাণের সঞ্চার হয়েছে—পুরাতন দুৰ্গন্ধময় আচার-অনুষ্ঠান আর চলবে না-চলছে না। ;-মুনিঋষিগণের সেই সনাতন আৰ্য্য-ধাম্মের প্রতিষ্ঠা অবশ্যম্ভাবী। এখন তাহারই জয়গান কর। ;-পুরাতনের কথা তুলিয়া যাও,-নবজীবনকে সানন্দে অভ্যর্থনা কর । সেই সমাজে তোমার ন্যায় সাধবী সতীর কন্যা, তোমার ন্যায় ধৰ্ম্মপরায়ণা, নিষ্ঠাবতী, মহিয়সী। মহিলার দুহিতা স্থান প্ৰাপ্ত হবে। ইহাই বিশ্বনাথের আদেশ ! সেই আদেশই আমরা প্ৰতিপালন করব।--আর কোন আদেশ আমরা মানি না ।” লক্ষী বিনীতভাবে বলিল, “একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হবে কি ?” সন্ন্যাসী বলিলেন, “স্মরণ করিয়ে দিতে হবে না ; তোমার মনের কথা বুঝেছি। তুমি বলতে চােচ্ছ যে, তোমার কোনদিন যথা-শাস্ত্ৰ বিবাহ হয় নাই ; যে পাষণ্ড তোমার উপর অত্যাচার করেছিল, তাকে তুমি চিনতে পার নাই ; সুতরাং তোমার মেয়েকে কেহ বিবাহ করিতে পারে না। কেমন, এই ত তোমার কথা ।” A&