পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবী ; তঁার নাম যে প্ৰাতঃস্মরণীয় হয়ে পড়েছে। যেখানে দুঃখ । কষ্ট, যেখানে আপদ বিপদ, সেখানেই লক্ষ্মী! লক্ষ্মী এই আমাদের বাড়ীতেই কতদিন এসেছেন। লোকে বলে, তিনি শাপভ্রষ্ঠ । বিশেষ তিনি যখন আপনার শিষ্যা, তখন এ রকম যে হবে, তার আর আশ্চৰ্য্য কি ! প্ৰভু, আপনি যে কি খেলাই খেলছেন!” সন্ন্যাসী বলিলেন, “ঐ মেয়েট পাছে লক্ষ্মীর যোগ-ধৰ্ম্মের অন্তরায় হয়, সেইজন্য মেয়েটা জন্মাবার অব্যবহিত পরেই লক্ষ্মীকে আমার আশ্রমে নিয়ে যাই। তখন সে বড়ই অসুস্থ ; আর সেই সময়ই সরস্বতীর উপর মেয়েটার ভার দিই। ; নইলে ঐ মেয়ের মায়ায় বদ্ধ হলে, হয় ত লক্ষ্মীকে লক্ষ্মী দেবী করতে পারতাম না।” ভুবন বাবুর স্ত্রী বলিলেন, “এ যে আমাদের পরম সৌভাগ্য।” সন্ন্যাসী বললেন, “ভুবন, মা লক্ষ্মীকে তোমরা জান, আমিও তাকে হাতে গড়ে তুলেছি; কিন্তু ঈশানীর পিতার কথা, তাহার পরিচয় তোমরা জান না । সে ইতিহাস শোন ।” এই বলিয়া সন্ন্যাসী লক্ষ্মীর জীবনের আদ্যন্ত ঘটনা ধীরে-ধীরে বলিয়া যাইতে লাগিলেন । অবশেষে বলিলেন, “শুনিলে, তোমার লক্ষ্মীর জীবন-কথা ৷ লক্ষ্মী কাহারও বিবাহিত পত্নী নহে। অসঙ্গায়া কুমারী দুৰ্ব্বত্তের কবলে পড়িয়া অজ্ঞান হইয়া গিয়াছিল। তাতার ফলেই এই কন্যা। সেই আক্রমণের মুহুর্তের পর হইতেই লক্ষ্মী বিধবা । বিবাহ না হউক, ক্ষণকালের জন্য অজ্ঞান অবস্থায় সে একজনের কাম-পত্নী হইয়াছিল ; তাহার পরীক্ষণ হইতেই সেই দুৰ্ব্বত্ত লক্ষ্মীর পক্ষে মৃত । এই অজ্ঞাতি-জনক কন্যার δ γ\O